Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

আজ মনের আনন্দে মিথ্যা বলুন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:০৬ PM
আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০২:০৬ PM

bdmorning Image Preview


মনের আনন্দে মিথ্যা কথা বলা যাবে আজ। ‘সদা সত্য কথা বলবে’ ‘নেভার টেল আ লাই’ এরকম অনেক নীতি বাক্য আমাদেরকে শেখানো হয় ছোটবেলা থেকে। কিন্তু সেই শিক্ষাকে কয়জনই বা মেনে চলতে পারেন। জীবনে চলার পথে ছোট-বড় মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় অনেকের। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রথি মহারথীরাও মিথ্যা বলেছেন বিভিন্ন কারণে।

অনেকে আবার মিথ্যাকে পুঁজি করে গড়ে তুলেন নিজের সাম্রাজ্য। এমনকি ক্রমাগত মিথ্যা বলার মানসিক রোগও আছে অনেকের, একে বলা হয় মিথোমেনিয়া। আবার বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাই ইউটিউব কণ্টেণ্ট ক্রিয়েটররা বিভিন্ন প্র্যাঙ্ক ভিডিও বানান, যেখানে মিথ্যা কিছু উপস্থাপন করে সাধারণ মানুষকে ভড়কে দেয়া হয়, এরপর তাদের রিএকশন রেকর্ড করে চ্যানেলে আপলোড করেন তারা। মানুষের হাসির খোরাক যোগায় সেসব প্র্যাঙ্ক ভিডিও। 

যদি মিথ্যা নিয়ে হাজারো গণ্ডগোলের সৃষ্টি হয় পৃথিবী জুড়ে। কিন্তু কেমন হবে যদি মিথ্যা বলার জন্য বিশেষ দিবসের আয়োজন করা হয়। ঠিক এমনটি  ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে।  ১৯৮৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সেখানে চালু হয় ‘বিগ হুপার লায়ার ডে’। অব্রি রবিসন নামের একজন প্র্যাঙ্ক তারকা দিবসটির প্রবর্তন করেন। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হরমনি, ইন্ডিয়ানায় রীতিমতো মিথ্যা গল্প বলার প্রতিযোগিতাও হয়।

প্রতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে মহা সমারোহে পালিত হয় মিথ্যা বলার দিবস। এই দিনটিতে তিন বা চারশত'র বেশি জনসমাগম হয়। সেখানে ১৫/২০ জন প্রতিযোগী নির্ধারিত সময় নিয়ে কোন একটি বিশ্যে মিথ্যা, অতিরঞ্জিত গল্প বলেন। এই গল্প বলা কিংবা মিথ্যা উপস্থাপনের উদ্দেশ্য থাকে নিছক বিনোদন। উপস্থিত দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে বিচারকরা সেরা মিথ্যাবাদী কে বিজয়ী ঘোষণা করেন। দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এটি লক্ষ রাখা যে মিথ্যা যেন আনন্দ বা বিনোদন হিসেবেই থাকে। নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়। 

Bootstrap Image Preview