Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নগ্নতায় নিষিদ্ধ এই ছবিগুলি কিন্তু বিদেশে হইচই ফেলেছে... (ভিডিও লিঙ্কসহ)

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৪ PM
আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:১৪ PM

bdmorning Image Preview


কখনও যৌনতা, কখনও সাম্প্রদায়িকতা, কখনোবা জঙ্গিবাদ- ভারতীয় সেলুলয়েডে বিতর্কীত বিষয় নিয়ে সিনেমা তৈরি হয়েছে অনেক। তবে, প্রতিক্রিয়াশীলদের অসহিষ্ণুতা বরাবরই এসব সিনেমাকে নিয়ে গেছে বিতর্কের কেন্দ্রে। আর সেকারণেই নানা সময়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনেক সিনেমাও সেন্সরের বাধা অতিক্রম করে দেখতে পায়নি মুক্তির আলো। এমনই কিছু সিনেমার নাম জেনে নেওয়া যাক, যেগুলি ভারতে কখনও রিলিজ হয়নি অথচ বিদেশের মাটিতে অত্যন্ত সফল।

সেরকমই ভারতীয়  নিষিদ্ধ সিনেমা নিয়ে এবারের আয়োজন।

আনফ্রিডম (Unfreedom) - একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, আর তা মূলত একটা সন্ত্রাসবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে-- এই বিশেষ কারণেই ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল 'আনফ্রিডম' (Unfreedom 2019) ছবিটি। LGBTQ সম্প্রদায়ের জীবন ফুটে উঠেছিল এখানে। রাজ অমিত কুমার পরিচালিত এবং প্রযোজিত এই ছবিটি ভারতে কখনও মুক্তি পায়নি। ২০১৪ সালে 'কেরল আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র' উৎসবে দেখানো হয়েছিল 'আনফ্রিডম'। ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিল হুসেনের মতো জাঁদরেল অভিনেতারা এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। ২০১৫ সালে ভারত বাদে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে মুক্তি পেয়েছিল 'আনফ্রিডম'। বেশ মোটা অঙ্কের ব্যবসাও করেছিল। এখন ইউটিউবে চাইলেই আপনি দেখে নিতে পারেন 'আনফ্রিডম'।

ভিডিও- 

গুলাবী আয়না বা দ্য পিংক মিরর (The Pink Mirror) - জেন্ডার ইস্যু এই দেশে সবসময়েই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর তা নিয়ে যখন একটা সিনেমা তৈরি হচ্ছে বিতর্ক তো হবেই। ২০০৩ সালে ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে তৈরি হয়েছিল ''দ্য পিংক মিরর' (The Pink Mirror 2003)। অশ্লীল দৃশ্য রয়েছে বলে ভারতে ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল এই ছবি। যদিও ছবিটিগোটা বিশ্ব দরবারে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছিল। কিন্তু ভারতে কখনও মুক্তি পায়নি 'দ্য পিংক মিরর'। শ্রীধর রঙ্গায়নের এই ছবিতে বলিউডের এক ফ্যাশন ডিজাইনার এবং এক ডান্সারের প্রেম কাহিনি ফুটে উঠেছিল।

ভিডিও- 

​গান্ডু (Gandu Film)- বাংলার গল্প। কলকাতার গল্প। এক ক্রুদ্ধ কমবয়সী র‌্যাপার গান্ডুর স্বপ্ন সফল করার কাহিনি। আর সঙ্গে তাঁর দোসর রিক্সার রোজনামচা। ছবিতে ন্যুডিটি, গালিগালাজ, ড্রাগের নেশা--ইত্যাদির কারণেই কখনও রিলিজ করতে দেওয়া হয়নি। তবে কৌশিক মুখোপাধ্যায় থুড়ি Q-র 'গান্ডু' (Gandu Film) ২০১০ সালে নিউইয়র্কে 'সাউথ এশিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এ প্রিমিয়ার হয়েছিল। পরের বছরই 'বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব' এবং 'স্লামডান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'-এও মুক্তি পেয়েছিল 'গান্ডু'। ছবিটি একসময়ে ইন্টারনেটে লিক হয়ে যায়। বিপুল পরিমাণে মানুষ দেখে ফেলেন ছবিটি। বিদেশে ব্যাপক ভাবে প্রশংসিত হয়েছিল অনুব্রত বসু, জয়রাজ ভট্টাচার্য, রি সেন, কমলিকা, শিলাজিৎ অভিনীত 'গান্ডু'। 

ভিডিও- 

​ডেজড ইন দুন (Dazed In Doon) -দুন স্কুল যে এ দেশের নামজাদা স্কুলগুলির একটি, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সেই স্কুল আর স্কুল পড়ুয়াদের নিয়েই তৈরি হয়েছিল 'ডেজড ইন দুন' (Dazed In Doon 2010)। ছাত্রদের অত্যধিক পরিমাণে ড্রাগের নেশা এবং ন্যুডিটি দেখানো হয়েছিল এই ছবিতে। সেই কারণেই ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল 'ডেজড ইন দুন'। ছবিটিকে রিলিজ করতে না দেওয়ার কারণে হিসেবে বলা হয়েছিল, অত্যন্ত নামজাদা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে খুবই খারাপ নজরে দেখানো। অশ্বিন কুমার পরিচালিত এই ছবি বিদেশে বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।

পাওলি দাম (‘ছত্রাক’, ২০১১): এই ফিল্মের দৃশ্যটি ইতিমধ্যেই ইন্টারনেটের দৌলতে অনেকেরই দেখা হয়ে গিয়েছে। এই দৃশ্যেও পাওলির সঙ্গী ছিলেন অনুব্রত। শ্রীলঙ্কান পরিচালক বিমুক্তি জয়সুন্দর পরিচালিত ফিল্মটির সেই বিখ্যাত দৃশ্যটিতে পাওলির সম্মুখ-নগ্নতা ধরা পড়েছিল।

ঋ (‘গান্ডু’, ২০১০): তালিকায় দ্বিতীয় নামটি বাঙালি অভিনেত্রী ঋ-এর। কিউ পরিচালিত এই ছবিতে সহ-অভিনেতা অনুব্রতর সঙ্গে একটি শয্যাদৃশ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়েছিলেন ঋ। তাঁর গোপনতম অঙ্গও ধরা পড়েছিল ক্যামেরায়। এর পরে ‘কসমিক সেক্স’ নামের আর একটি ফিল্মেও নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছিলেন ঋ।

সীমা রহমানি (‘সিনস’, ২০০৫): বিনোদ পাণ্ডে পরিচালিত ‘সিনস’ নামের ছবিটি এক ক্যাথলিক পাদ্রির কাহিনি, যিনি একটি অল্পবয়সি মেয়ের সঙ্গে প্রণয়-সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে পড়েন। ফিল্মের একটি অংশে শাইনি আহুজার সঙ্গে ভালবাসার দৃশ্যে সীমা রহমানি সম্পূর্ণ নগ্ন হন। তাঁর শরীরের সামনের অংশও সম্পূর্ণ ধরা পড়ে ক্যামেরায়। ক্যাথলিক সমাজ এই ফিল্মের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।

দীপা শাহি (‘মায়া মেমসাব’, ১৯৯৩): কেতন মেহতা পরিচালিত এই ছবির একটি শয্যাদৃশ্যে শাহরুখ খানের সঙ্গে নগ্ন হয়েছিলেন দীপা। ছবিটি ছিল ‘মাদাম বোভারি’র একটি অক্ষম ভারতীয় সংস্করণ।

সিমি গ্রেবাল (‘সিদ্ধার্থ’, ১৯৭০): হারম্যান হেসের উপন্যাস অবলম্বনে কনরাড রুকস পরিচালনা করেন ইংরেজি ভাষার এই ছবি। এর একটি দৃশ্যে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে অভিনয় করেছিলেন সিমি। সঙ্গে ছিলেন শশি কপুর। দৃশ্যটি স্বভাবতই যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি করে।

রাধিকা আপ্তে (‘পার্চড’, ২০১৬): সাম্প্রতিক ছবি লীনা যাদব পরিচালিত ‘পার্চড’ ছবিতে তাঁকে নগ্ন অবস্থায় দেখা গিয়েছিল। ছবিতে তাঁর অভিনয় যথেষ্ট প্রশংসনীয়।

Bootstrap Image Preview