জ্বর হলেই ঠোঁটে ঘা হয় অনেক সময়। আম ভাষায় এই বিষয়টিকে জ্বরঠোসা বা জ্বরসোটা বলা হয়। কিন্তু, এই জ্বরঠোসার দরুন বড় ক্ষতি হতে পারে। এমনকী, যৌনাঙ্গে রোগ, দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাতেও পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। ঠিক কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? এই নিয়ে এবার উল্লেখযোগ্য মন্তব্য করলেন ডা: তাসনিম জারা । তিনি বলেন, “ জ্বরঠোসার কারণে যৌনাঙ্গে হারপিস নামক একটি রোগ তৈরি হতে পারে। যা একবার হলে সারা জীবন থেকে যায়। অনেকেই জানেন না জ্বরঠোসা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই অনেকে বিষয়টি এড়িয়ে চলেন।”
জ্বরঠোসা থেকে কীভাবে সুরক্ষিত থাকা যাবে?
প্রথমেই বলা যাক চোখের সুরক্ষা: “জ্বরঠোসা থেকে ভাইরাস যদি চোখে চলে যায় সেক্ষেত্রে বিপত্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে।” স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন? এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে চিকিৎসক বলেন, “জ্বরঠোসা হলে সেখানে হাত দেবেন না। জ্বরঠোসায় হাত লাগলে তা সাবান দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। জ্বরঠোসা হওয়ার পর কোনও কারণে চোখে হাত দিতে হলে তার আগে হাত ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। এই নিয়ে খুব ভয়ের কিছু নেই বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ডা: তাসনিম জারা বলেন, এই ভাইরাস চোখে চলে যাওয়া মানেই যে অন্ধ হয়ে যাওয়া বিষয়টি তা নয়। কিন্তু, সাবধান থাকাই শ্রেয়।”
যৌনাঙ্গে হার্পিস থেকে সুরক্ষা… অনেকেই হয়তো ভাবতেও পারবেন না যে জ্বরঠোসার কারণে যৌনাঙ্গে হার্পিস নামক একটি রোগ হতে পারে। ডা: তাসনিম জারা বলছেন, “জ্বরঠোসা সম্পূর্ণ সেরে যাওয়া না পর্যন্ত সঙ্গীর যৌনাঙ্গের কাছে মুখ না নিয়ে যাওয়া সাবধানতার অন্যতম প্রথম পদক্ষেপ।”
অলঝেইমার্স রোগ থেকে সুরক্ষা… অনেক সময় দেখা যায় কথা বলতে গেলে অনেকে ভাষা খুঁজে পান না। স্মৃতি হারিয়ে ফেলেন। এগুলোই অলঝেইমার্স রোগের লক্ষণ। এই রোগের সঙ্গে জ্বরঠোসার একটা সম্পর্ক পাওয়া গিয়েছে সম্প্রতি কিছু গবেষণায়, জানাচ্ছেন ডা: তসনিম জারা। এই ভাইরাসের সঙ্গে যে অলঝেইমার্স রোগের যোগাযোগ রয়েছে এই বিষয়ে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কিছু গবেষণা সেই দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডা: তাসনিম জারা । সেক্ষেত্রে জ্বরঠোসা হলে লিপজেল, চামচ, গ্লাস সব আলাদা ব্যবহার করতে হবে।
নবজাতক এবং যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাঁদের থেকে দূরে থাকা… জ্বরঠোসা হলে যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং শিশুদের থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন ডা: তাসনিম জারা।