Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মধ্যরাত পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়িতে হিরো আলম

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪০ AM
আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২২, ০৮:৪০ AM

bdmorning Image Preview


সম্প্রতি হিরো আলমের বিরুদ্ধে রুবেল মুন্সী নামে এক তরুণকে তুলে নিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে শুক্রবার রুবেল মুন্সী গাজীপুরের শ্রীপুর মডেল থানায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণে দুজনকেই ফাঁড়িতে ডেকেছিল পুলিশ। কিন্তু অভিযোগকারী রুবেল মুন্সী পুলিশের ডাকে সাড়া না দিয়ে উল্টো মোবাইল ফোন বন্ধ রাখেন।

এদিকে শ্রীপুরের চকপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে রোববার মধ্যরাত পর্যন্ত রুবেল মুন্সীর অপেক্ষায় বসে ছিলেন হিরো আলম। জানা গেছে, হিরো আলমের বিরুদ্ধে রুবেল মুন্সীর দায়ের করা অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি পুলিশ।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার এসআই নাজমুল হক বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে অর্থ আত্মসাৎ ও হত্যার হুমকির প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, বাদী ও বিবাদীকে রোববার সন্ধ্যায় শ্রীপুর থানার চকপাড়া ফাঁড়িতে ডাকা হয়েছিল। এদিন মধ্যরাত পর্যন্ত পুলিশ ফাঁড়িতে বসে থেকে হিরো আলম চলে গেছেন। কিন্তু অভিযোগকারী আসেননি।

হিরো আলমের অভিযোগ, ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য থানায় ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে রুবেল মুন্সী তার সম্মানহানী করেছেন। এবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে সম্মানহানীর অভিযোগে রুবেল মুন্সীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন বলে জানান তিনি।

গত ৫ আগস্ট কুমিল্লার মতলব থানার বড়ইলদা গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে রুবেল মুন্সী হিরো আলম ও তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে গাজীপুরের শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। রুবেল শ্রীপুরের মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

অভিযোগে বলা হয়, রুবেলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মতলব থানার বড়ইলদা এলাকায়। তবে তিনি শ্রীপুরের চকপাড়ায় বসবাস করেন। তিনি এক সময় রাজধানীর রামপুরায় হিরো আলমের অনলাইন ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে ১০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। ২০২১ সালে তাঁর কাছ থেকে হিরো আলম ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি সাত মাসের বেতনের ৭০ হাজার টাকা হিরো আলমের কাছে জমা রাখেন। পরবর্তীতে তিনি মোট পাওনা ৯০ হাজার টাকা ফেরত চাইলে হিরো আলম তালবাহানা শুরু করেন। এক পর্যায়ে পাঁচ মাস আগে চাকরি ছেড়ে তিনি শ্রীপুরে চলে যান। সেখানে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় হিরো আলমসহ কয়েকজন টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে রুবেলের কাছে শ্রীপুরে যান। টাকা দেওয়ার কথা বলে তাঁকে গাড়িতে তুলে একটি খোলা স্থানে নিয়ে টাকা দেবে না বলে জানান। একই সঙ্গে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। পরে তার ল্যাপটপ নিয়ে রাত ৩টায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে সোমবার বিকেলে হিরো আলম বলেন, রুবেল মুন্সী মাঝেমধ্যে আমার অফিসে যেত। কিন্তু কোনো চাকরি করতো না। আমার ইউটিউব চ্যানেল ও আইটির কোনো সমস্যা হলে সেটা ঠিক করে দিতো। ৫ মাস আগে রুবেল আমার ল্যাপটপসহ, জিমেইল আইডি, ফেসবুক আইডির পাসওয়ার্ড নিয়ে পালিয়ে চলে আসে। কোথাও তাকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে জানতে পারি তিনি চকপাড়া গ্রামে আছেন।

তিনি আরও বলেন, গত ৪ আগস্ট তার কাছে এসে অনুরোধ করি ল্যাপটপসহ সব কিছু দিয়ে দেওয়ার জন্য। কিন্তু সে আমার অনুরোধ রক্ষা করেননি। পরে শুনতে পারি রুবেল থানায় অভিযোগ করেছে।

Bootstrap Image Preview