Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পরীমনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:০২ PM
আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:০২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আজ মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল)। এ জন্য আদালতে এসেছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।

সকাল ৯টা ৫৩ মিনিটে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ নং আদালতে আসেন পরীমনি। তার উপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।

এর আগে ৩ মার্চ এ আদালতের বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জ গঠনের জন্য ১৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির মামলায় গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ, তার সহযোগী শাহ শহিদুল আলম ও তুহিন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক হেমায়েত উদ্দিন চার্জশিট গ্রহণ করেন।

পরীমনির করা এ মামলায় জামিনে আছেন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী। তবে পলাতক রয়েছেন আসামি শাহ শহিদুল আলম। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

গত ১৪ জুন সাভার থানায় মামলাটি করেছিলেন পরীমনি। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িতে করে তারা উত্তরার উদ্দেশে রওনা হন। পথে অমি বলে বেড়িবাঁধের ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে। অমির কথামতো তারা সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করান। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। অমি ক্লাবের ভেতরে গিয়ে বলে এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর, তোমরা নামলে নামতে পার।

এজাহারে আরও বলা হয়, তখন আমার ছোট বোন বনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করে। টয়লেট থেকে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন।

আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল ঢুকিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। এতে আমি সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

Bootstrap Image Preview