Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

দাম না বাড়ালে অনির্দিষ্টকালের জন্য গরু ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০২:৫১ PM
আপডেট: ০৭ এপ্রিল ২০২২, ০২:৫২ PM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


গরু ও ছাগলের মাংসের বেশি দাম কার্যকর না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য মাংস বিক্রি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন সিলেটের ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে নগরের মাংসের দোকানগুলো।

এর আগে জরুরি বৈঠক করে বুধবার রাত ১টার দিকে বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি।

সিলেটের মাংস ব্যবসায়ীরা জানান, গত ২৯ মার্চ রমজান উপলক্ষে এক বৈঠকে সিলেট নগরে গরু ও ছাগলের মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয় সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এ হিসাবে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় ও খাসির মাংস ৮৫০ টাকায় বিক্রি করতে হবে ব্যবসায়ীদের।

তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, বেশি দামে গরু ও ছাগল কিনতে হচ্ছে তাদের। এ কারণে সিসিক নির্ধারিত দামে মাংস বিক্রি করলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।

সিলেট মহানগর মাংস ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ওই বৈঠকের পর থেকেই আমরা সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে দাম বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছি। তবে নগর কর্তৃপক্ষ রাজি হয়নি। এতে আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গরু ও ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় গরুর মাংস নূন্যতম ৬৫০ টাকা ও ছাগলের মাংস নূন্যতম ৯০০ টাকার প্রস্তাব দিয়েছি। এর কমে বিক্রি করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।’

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, ‘সারাদেশের সঙ্গে মিল রেখেই সিলেটে মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ৫৫০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা সেখানে ৬০০ টাকা কেজি নির্ধারণ করেছি।’

ব্যবসায়ীদের আকস্মিক ঘোষণায় ক্ষোভ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিক্রি বন্ধ না রেখে ব্যবসায়ীরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। দেশের কোথাও বেশি দামে নির্ধারণ করা হলে তার প্রমাণ দিতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা তা না করে ধর্মঘটে চলে গেছেন।’

হঠাৎ করে গরু ও ছাগলের মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

নগরের শিবগঞ্জ বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে গরুর মাংস কিনতে এসেছিলেন মিরাবাজার এলাকার সাদ উদ্দিন। দোকান বন্ধ থাকায় তাকে মাংস না কিনেই বাড়ি ফিরতে হয়।

বলেন, ‘রোজার মাসে এভাবে আচমকা মাংস বিক্রি বন্ধ করে দেয়া ব্যবসায়ীদের ঠিক হয়নি। এতে আমরা সাধারণ ক্রেতারা বিপাকে পড়েছি।’

Bootstrap Image Preview