কিছু সময়ের জন্য ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র বিঘ্নিত হলেও আগামীতে তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ভোটাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার কোনো ফাঁকা বুলি নয়, এ কমিশন তা অন্তরে ধারণ করে।
বুধবার (২ মার্চ) সকালে রাজধানীতে জাতীয় ভোটার দিবসের শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
ভোট মানুষের নাগরিক অধিকার। আর এ ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমেই একজন নাগরিক তার পছন্দের নেতৃত্ব বেছে নেন। নাগরিকদের এ দায়িত্ব পালনে সচেতনতা তৈরি করতেই প্রতিবছর ২ মার্চ পালন করা হয় জাতীয় ভোটার দিবস।
এরই অংশ হিসেবে সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে শোভাযাত্রা বের করে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অন্যান্য কমিশনার ও কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এতে অংশ নেন।
এবারের ভোটার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার রক্ষা করব ভোটাধিকার’।
শোভাযাত্রা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটাধিকার রক্ষার অঙ্গীকার কোনো ফাঁকা বুলি নয়, এ কমিশন তা অন্তরে ধারণ করে। এ অঙ্গীকার কেবল কথার কথা নয়, বরং অন্তরে ধারণ করেই কাজ করবে এ কমিশন।
বঙ্গবন্ধু যে লক্ষ নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন সেই আদর্শ ধারণ করেই মানুষের ভোটের অধিকার রক্ষায় এ কমিশনকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় সিইসি আরও বলেন, আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে, সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন করা হবে। যেখানে সাধারণ ভোটাররা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটাধিকার যদি সাময়িক সময়ের জন্য বিঘ্নিত হয়েও থাকে তা জনগণের কাছেই ফিরিয়ে দেওয়া হবে। আর ভোটারদেরও নিজেদের অধিকারের বিষয়ে সচেতন হওয়ার কথা বলেন তিনি।
আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবার অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলেও আশার কথা শোনান সিইসি।