প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করা হয়।
অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ পেয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সর্বশেষ জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০১৪ সালের ২ মার্চ এই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তারপর একই বছর ১ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি অবসরে গেলে ২১ জানুয়ারি একই মন্ত্রণালয়ে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবেই পুনর্নিয়োগ পান তিনি। কাজী হাবিবুল আউয়াল প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে থাকাকালে মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত সব বিভাগের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা পালন করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়ালের জন্ম ১৯৫৬ সালের ২১ জানুয়ারি। তিনি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৬ সালে এলএলবি ও ১৯৭৮ সালে অর্জন করেন এলএলএম ডিগ্রি। এরপর বার কাউন্সিল সনদ পান ১৯৮০ সালে এবং একই বছর ঢাকা জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পদ লাভ করেন।
১৯৮১ সালে বিসিএস উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি কর্ম কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে জুড়িসিয়াল সার্ভিসে যোগ দেন তিনি। নিয়োগ পান মুনসেফ হিসেবে। এরপর ধারাবাহিক পদোন্নতি পেয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল জেলা জজ হন ১৯৯৭ সালে।
কর্মজীবনে কাজী হাবিবুল আউয়াল বাংলাদেশ আইন কমিশনের সচিব, শ্রম আদালতের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। সহকারী সচিব ও পরবর্তীতে উপ-সচিব হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেষণেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। সরকারি চাকরি থেকে পরিপূর্ণ অবসরে যাওয়ার পর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এবারই প্রথম আইন করে সার্চ কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দিলেন রাষ্ট্রপতি। এখন পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া ১৩ জন সিইসির মধ্যে সাতজনই বিচারপতি। আর বাকিরা সরকারের আমলা ছিলেন।