বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন চেম্বার আদালত। আগামী রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এসময়ের মধ্যে জায়েদ-নিপুণ কেউ সাধারণ সম্পাদকের চেয়ারে বসতে পারবেন না। চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আপিলের শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আইনি জটিলতার এই সময়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া সাইমন সাদিক।
এই অভিনেতাকে এ প্রশ্ন করা হলে বলেন, ওই ভার আমি নিতে পারব কিনা…. (হাসি)। নিপুন আপা কিন্তু আমাদের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এফডিসিতে চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের নেতা ও সদস্যদের জরুরি বৈঠক শেষে তাকে প্রশ্ন করা হলে এমন জবাব দেন। ওই বৈঠকে জায়েদ খান ও নিপুনের বিষয়ে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান সাইমন সাদিক। চলচ্চিত্রের সার্বিক উন্নয়নের নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
সাইমন সাদিক এ সময় আরও দাবি করেন, সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুনকে প্রয়োজন। যুক্তি দিয়ে বলেন, পদ-পদবী ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে নিপুন আপা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে অনেক কাজ করছেন। উনি সাধারণ সম্পাদক হলে আরও ভালোভাবে কাজ করতে পারবেন।
এদিকে আজ আদালতে নিপুণের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ ও ব্যারিস্টার মো. মোস্তাফিজুর রহমান খান। আর জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করবেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে জয়ী ঘোষণা করা হয়।
কিন্তু তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনাসহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চিত্রনায়িকা নিপুণ। এরপর ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী ঘোষণা করেন।
এরপর রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) প্রাঙ্গণে ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ আক্তারের নেতৃত্বে নতুন কমিটি শপথ গ্রহণ করে। পরে শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে নিজ নিজ পদের চেয়ারে বসেন তারা। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করেন শিল্পী সমিতির সদস্যরা।
তবে নিপুণের এই বিজয়কে মেনে নিতে নারাজ জায়েদ খান। তিনি দাবি করেন, আপিল বোর্ডই অবৈধ। তাই তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে যান। এরপর নিজের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন।