Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ওমিক্রনের পর আসছে নতুন ভেরিয়েন্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:১৭ PM
আপডেট: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৯:১৭ PM

bdmorning Image Preview


বিশ্বের কোথাও করোনাভাইরাস মহামারি কোনো জায়গাতেই ফুরিয়ে যায়নি বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস।

একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের পর নতুন কোনো ভেরিয়েন্ট আসতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, ‘বিশ্বের কোথাও মহামারি শেষ হয়ে যায়নি, সেই সাথে ওমিক্রনের প্রকোপ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। নতুন ধরনের আবির্ভাব হতে পারে। করোনায় আক্রান্ত রোগীর সঠিক সংখ্যা নির্ণয় করা সত্যিই কঠিন।’

গত বছরের শেষদিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় আবিস্কারের পর ওমিক্রন দ্রুত বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বজুড়ে করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে এলেও নতুন বছরের শুরুতে ওমিক্রনের দাপটে বিপর্যয় আবারও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন দেশ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ফের কঠোর পদক্ষেপ জারি করছে, বন্ধ করে দিচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার সতর্ক করে দিয়ে বলছে, ওমিক্রন ধরনের লক্ষণগুলোকে কোনোভাবেই যেন মৃদু উপসর্গ মনে করা না হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার হার ও পরে তাদের মৃত্যুর হার বিশ্লেষণ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনকে হালকাভাবে নিলে তার ফলাফল হবে মারাত্মক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মাইক রিয়ান বলেন, ‘আমরা যদি ওমিক্রনকে হালকা ধরনের ভাইরাস হিসেবে ধরি, তাহলে বলতে হয় তা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর কম প্রভাবই ফেলছে। কিন্তু তাই বলে ওই ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ যখন ঠেকানো যাবে না, তখন সেটিকে আর কোনোভাবেই হালকা হিসেবে নেওয়ার সুযোগ নেই। আমরা বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যবিধি জোরদার করার পরামর্শ দিচ্ছি।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাবিষয়ক কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরকোভ বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাস খুব দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরার কর্মসূচি যেন কোনোভাবেই প্রত্যাহার করা না হয়, আমরা সেই পরামর্শই দিচ্ছি। একইসঙ্গে বলছি, ওমিক্রনই কিন্তু শেষ ধরন নয়।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য এর আগে বিশ্বকে সতর্ক করে দিয়ে বলছে, যারা এখনও টিকা নেননি তাদের জন্য ওমিক্রন ধরনটি বিপজ্জনক। 

ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেছেন, ডেল্টার চেয়ে ওমিক্রনে আক্রান্ত রোগীর অসুস্থতা তুলনামূলক কম হলেও ওমিক্রন বিপজ্জনক। বিশ্বের বহু মানুষ করোনার টিকা নেননি। তাই নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। 

তিনি বলেন, আফ্রিকায় এখনো ৮৫ শতাংশের বেশি মানুষ এক ডোজ টিকাও পাননি। টিকা নিয়ে এই বৈষম্য দূর করতে না পারলে মহামারী পুরোপুরি শেষ হবে না।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১০ শতাংশ, ডিসেম্বরের মধ্যে ৪০ শতাংশ ও ২০২২ সালের মাঝামাঝি প্রতিটি দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে চান বলে জানিয়েছিলেন টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস। 

তিনি বলেছেন, এখনো ৯০টি দেশ ৪০ শতাংশ ও এর মধ্যে ৩৬টি দেশ ১০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনতে পারেনি।

ডব্লিউএইচওর প্রধান আরও বলেন, এখন বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশির ভাগ করোনাভাইরাসের টিকা নেননি। তবে তিনি এটাও বলেছেন যে টিকা করোনায় গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঠেকাতে খুব কার্যকর হলেও ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধের পূর্ণ সক্ষমতা টিকার নেই।

টেড্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, সংক্রমণ যত বাড়বে, হাসপাতালে ভর্তি, মৃত্যু ও ঘরবন্দি মানুষের সংখ্যাও তত বাড়বে। এর মধ্যে শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন। এছাড়া এতে করে ওমিক্রনের চেয়ে আরও বেশি মাত্রায় সংক্রামক ও আরও প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের নতুন কোনো ধরন আসার ঝুঁকি তৈরি হবে।

Bootstrap Image Preview