রাজধানীর পান্থপথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা এক যাত্রী মারা গেছেন। নিহতের নাম আহসান কবির খান (৪৫)। তিনি একজন গণমাধ্যমকর্মী।
বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে পান্থপথে বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কবির খানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নেওয়া হয়। পরে চিকিৎসক তার মৃত্যুর কথা জানান।
ঘটনাস্থল থেকে কবির খানকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান কলাবাগান থানার (উপ পরিদর্শক) এসআই গোলাম রাব্বানী। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখনো তার মাথায় একটি হেলমেট রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে তার মাথার উপর দিয়ে গাড়ির চাকা উঠে গেছে। তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। সবাই এসেছেন।
নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভীন বলেন, আমার স্বামী বেলা ১১টায় নাস্তা খেয়ে মোহাম্মদপুর ও উত্তরা যাবেন বলে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। পরে খবর পেলাম তিনি আর নেই।
এসব কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন স্ত্রী নাদিরা। তিনি জানান, কবির খান প্রথম আলোর সাবেক কর্মী। তিনি বর্তমানে সংবাদে গ্রাফিক্সে কাজ করছিলেন। দুই সন্তান নিয়ে তারা মগবাজারে নিজস্ব ফ্ল্যাটে থাকতেন। কবিরের গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির সদর থানায়।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আহসানের ফোন থেকে তার পরিবারের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তার পরিবার থেকে বলা হয়েছে তিনি প্রথম আলোতে চাকরি করতেন।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিগন্যাল ছাড়া মাত্রই সিগন্যালে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় ময়লার গাড়িটি। এতে ঘটনাস্থলেই একজন প্রাণ হারান। সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ওই লোকের নাম কবির খান বলে জানা যায়।
দুর্ঘটনার পর পরই কবিরকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়লার গাড়ির চাপায় তার মাথা থেতলে গেছে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গুলিস্তানে হল মার্কেটের কাছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ যায় নটর ডেম কলেজের নাঈম হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর।
এ ঘটনার বিচারের দাবিতে দুই ধরে রাজধানীতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নেন তারা। ১০টি দাবি দিয়ে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।