Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় যৌনতার বিনিময়ে নারীদের চাকরির অভিযোগ, মিলেছে সত্যতা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৫ AM
আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:৪৫ AM

bdmorning Image Preview
ছবি সংগৃহীত


বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) হাতে একটি ভয়াবহ রিপোর্ট এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কঙ্গোয় ইবোলা মহামারির সময় একাধিক নারী কর্মীকে যৌনতার বিনিময়ে চাকরির শর্ত দিয়েছিল ডব্লিউএইচও কর্মীরা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ঘোষণা দিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থাটি।

সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে জানিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে ইবোলা রোগটি মহামারির রূপ নিয়েছিল। সে সময় ইবোলার সঙ্গে লড়াই করার জন্য বহু কর্মী নিয়োগ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। একাধিক নারী কর্মীকে যৌনতার বিনিময়ে চাকরির শর্ত দিয়েছিল সেখানকার ডব্লিউএইচও’র কর্মীরা।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ডব্লিউএইচও’র প্রধান সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

যৌন হেস্থার এই অভিযোগ আগেই ডব্লিউএইচও’র কানে এসেছিল। তারই ভিত্তিতে একটি স্বাধীন এবং নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে সংস্থাটি। সম্প্রতি তাদের রিপোর্ট ডব্লিউএইচও’র হাতে এসেছে। ৩৫ পাতার রিপোর্টে একাধিক যৌন হয়রানির অভিযোগের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।

রিপোর্ট অনুযায়ী, তদন্তের সময় যৌন হেনস্থার অন্তত ৮০টি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত প্রায় ২০ জন ডব্লিউএচও কর্মী। তাদের অধিকাংশই কঙ্গোর নাগরিক। তবে বিদেশিও আছে। অন্তত ৩০ জন নারী সরাসরি ডব্লিউএইচও কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। অন্তত ৫১ জন নারী ডব্লিউএইচও ছাড়াও ইউনিসেফ, অক্সফামের মতো সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী নারীদের অভিযোগ, ইবোলা মহামারির সময় বেশ কিছু চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছিল। ইবোলার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য সাময়িক সময়ের শর্তে বহু স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করেছিল ডব্লিউএইচও। অভিযুক্ত কর্মীরা সে সময় বহু চাকরিপ্রার্থী নারীর ইন্টারভিউ নেয়। তাদেরকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, বসের সঙ্গে যৌনতায় তাদের আপত্তি আছে কি না। যৌন সংসর্গ করলে পদোন্নতির কথাও বলা হয়।

আক্রান্ত নারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, কাজের প্রয়োজনে তারা রাজি হয়েছিলেন। সেই সুযোগে তাদের ধর্ষণও করা হয়েছে।

ডব্লিউএইচও’র বক্তব্য, যে ব্যক্তিদের নামে অভিযোগ, তাদের অধিকাংশই সংস্থার অস্থায়ী কর্মী (টেম্পোরারি স্টাফ)। অর্থাৎ, তাদেরকেও ইবোলা মোকাবিলা করার জন্য দ্রুত নিয়োগ করা হয়েছিল। সকলের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযুক্তদের নাম প্রকাশিত হয়নি।

অবশ্য কঙ্গোর ঘটনা একটি প্রশ্ন সামনে এনেছে। আর তা হলো- পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলেও একইরকম ঘটনা ঘটছে না তো?

Bootstrap Image Preview