চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ১১ আগস্ট থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে। আর সেটা সামনে রেখে আজ (সোমবার) সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি।
আগের ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কথা ছিল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশনে। কাউন্টারে ৫০% ও অনলাইন ও অ্যাপে বাকি ৫০% টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে।
করোনা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার কারণে গত ২৩ জুলাই থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দুসপ্তাহেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ট্রেন চালুর খবরে অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন অনলাইনে টিকিট কাটার। কিন্তু সকাল থেকে অনেকে অনলাইনে চেষ্টা করে টিকিট কাটতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আবার কমলাপুর রেলস্টেশনের কাউন্টারে লাইনে যারা দাঁড়িয়ে আছেন তাদেরও টিকিট দেওয়া হচ্ছে না।
টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো থাকা মনিরুজ্জামান নামে একজন বলেন, ভোর ৬টায় এসে টিকিট কেনার জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ৮টার সময় কাউন্টার খুলেছে, কিন্তু সার্ভার জটিলতার কারণে টিকিট দিচ্ছে না।
আর টিকিটের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে প্রবেশের পর অনেক টিকিট প্রত্যাশী দেখতে পাচ্ছেন- ‘নো ট্রেন ফাউন্ড।’
এমন একজন টিকিটপ্রত্যাশী ঢাকার বাসাবোর বাসিন্দা নয়ন সিকদার বলেন, সকাল ৮টা থেকে চেষ্টা করে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপে প্রবেশ করতে পারছি না। ১৪ আগস্ট ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য তিনটি টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছি। কিন্তু পাচ্ছি না।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার বাসিন্দা আসাদুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী সকাল ৮টা থেকে অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য কমপক্ষে ১০ বার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ঢুকতে পারছি না। তিনি ঢাকা থেকে আগামী ১৫ আগস্ট চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। তিনি বলেন, কাউন্টারে প্রচণ্ড ভিড় হবে, তাই অনলাইনে টিকিট সংগ্রহের চেষ্টা করছিলাম।
বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার শাহাদাত আলী জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যক টিকিটের চাহিদার বিপরীতে সবসময়ই টিকিট কম থাকে। এ কারণে নিয়ম-কানুন জেনে ও ধৈর্য সহকারে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে টিকিট প্রত্যাশীদের।