দুই সন্তানের বিবাহিত এই জননী একজন সফল পিআর এক্সিকিউটিভ, কখনোই চিন্তা করেননি যে তিনি কর্মক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়াবেন- তাও আবার বসের সঙ্গে।
পাঁচ বছর আগে যখন রেচেল তার সঙ্গে কাজ করতে শুরু করেন তখন তাকে পছন্দও করতেন না। তখন তিনি খুব অহংকারী ও দাম্ভিক ছিলেন এবং কিছুই শুনতে চাইতেন না। এছাড়া তিনি দেখতেও খুব একটা ভালো ছিলেন না। ওই সময়ে বিবাহিত জীবনে বেশ সুখীই ছিলেন রেচেল। কিন্তু ১৮ মাস যেতে না যেতেই হুমকির মুখে পড়ে তার বৈবাহিক জীবন, চাকরি ও নিজের মানসিক সুস্থতা।
রেচেল আসলে ওই নারীর আসল নাম নয়। এই লেখকের এক বন্ধু তিনি। রেচেল সম্পর্কে লেখক বলছেন, তিনি এখন আর বিবাহিত নন, আগের চাকরিটি আর করছেন না তিনি, যে মানুষটিকে তিনি হয়তো মন থেকে পছন্দই করেন না তার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র একটি ভুলের কারণে তার জীবনের উজ্জ্বল দিকটি ডুবে গেছে। তিনি স্বামী এবং প্রেমিক হারিয়ে এখন অনলাইন ডেটিং সাইটে সঙ্গী খুঁজে বেড়াচ্ছেন।
রেচেলের মতো এমন ঘটনা বর্তমান সমাজের অনেক নারীর জীবনেই ঘটছে। সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতি চারজন কর্মীর একজন তার সহকর্মীর সঙ্গে জীবনের কোনো এক সময় সম্পর্কে জড়ান এবং প্রতি ১০ জনের একজন কর্মক্ষেত্রে যৌন মিলনও করেন। তবে এমন সম্পর্কে যারা জড়িয়ে পড়েন বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এর ফলাফল খুবই খারাপ হয়। রেচেল এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ।
কর্মক্ষেত্রে পরকীয়া কিংবা সম্পর্কে জড়ালে সেটা প্রত্যেকের জন্যই খারাপ ফল বয়ে আনে, তবে নারীদের জন্য এটা আরও খারাপ ফল বয়ে আনে। পুরুষদের জন্য চাকরি টিকিয়ে রাখা তুলনামূলক সহজ, তারা স্ত্রী এবং পরকীয়া প্রেমিকের মধ্যে পার্থক্য রাখেন। পুরুষ যৌন মিলনকে শুধুমাত্র যৌন মিলন বলেই মনে রাখতে পারে কিন্তু নারীরা মানসিকভাবে বেশি জড়িয়ে পড়েন।
কর্মক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়ালে আপনার সম্মানের সঙ্গে চাকরি এবং আপনার বৈবাহিক জীবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সুতরাং এমনটা কেন করতে হবে? রেচেলের কাছে এমন প্রশ্ন রাখেন লেখক। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, আমি তার প্রেমে পড়েছিলাম।
তার এমন উত্তরের কারণে লেখক তাকে গর্দভ বলে বর্ণনা করেছেন লেখাতে। এছাড়া পুরো লেখা জুড়েই লেখক কর্মক্ষেত্রে পরকীয়া সম্পর্কের ক্ষতিকর দিক বর্ণনা করে নারীদের এ ধরণের সম্পর্কে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন লেখক, কারণ তার মনে কর্মক্ষেত্রে পরকীয়ায় জড়ালে নারীই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। ফিন্যানসিয়াল টাইমসের কলামিস্ট লুসি কেল্লির এ লেখাটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলে ছাপা হয়েছিল। ডেইলিহান্ট