পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'ইয়াস' উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও আরও ঘনীভূত হয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ইয়াসের প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনীসহ বিভিন্ন জেলায় নদী-খালের পানি বেড়েছে। এছাড়া অনেক জায়গায় আকাশ মেঘলা রয়েছে। অনেক জায়গায় আবার বৃষ্টি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল ৮টা থেকে শরণখোলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানাসহ সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের থেকে এক দেড়-ফুট বেড়ে গেছে।
পানগুছি নদীতীরের বাসিন্দা রাশেদ বলেন, সকাল থেকে নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। সময় যত গড়াবে এই পানি তত বাড়বে। পূর্ব অভিজ্ঞতা যেটা বলে দুপুর নাগাদ আরও দুই-তিন ফুট বেড়ে যাবে।
মোংলার পশুর তীরে বাসিন্দা রাজু বলেন, সকাল থেকে পানি বাড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি বাড়ছে। দুপুর নাগাদ আরও দুই-তিন ফুট বেড়ে যাবে বলে আমরা ধারণা করছি।
সাতক্ষীরার উপকূলীয় পদ্মপুকুর ইউনিয়নের পাতাখালি গ্রামের শাহিন বিল্লাহ জানান, কপোতাক্ষ নদে এখন ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে জোরে। বাঁধ ভেঙে যাবে যেকোনো সময়। এরপর জলোচ্ছ্বাস হলে বিপদের শেষ থাকবে না।
বরিশালের বাসিন্দা কামরুল বলেন, পানি অনেক বেড়ে গেছে। পূর্ণ জোয়ারের সময় আরও বৃদ্ধি পাবে। বেশি বাড়লে আমাদের ঘরেও পানি উঠতে পারে।
লক্ষ্মীপুরের বাসিন্দা কাউছার বলেন, আকাশে মেঘের আনাগোনা রয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীতে জোয়ার থাকায় ঢেউগুলো আছড়ে পড়ছে বাঁধে।