করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় ৮ দিনের কঠোর লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ (১৮ এপ্রিল)। আগের চারদিন সড়কে তেমন কোনও চাপ না থাকলেও আজ প্রধান সড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া কর্মহীন অনেক দিনমজুর রাস্তায় বের হয়েছেন কাজের সন্ধানে। রাজধানীতে পুলিশের চেকপোস্টে আগের দিনের তুলনায় বেশি কড়াকড়ি দেখা গেছে।
রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শাহজাদপুর, রামপুরা ব্রিজ, আবুল হোটেল, মালিবাগ, ধানমন্ডি, শনির আখড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে রিকশা, প্রাইভেটকার, সিএনজি ও চুক্তিভিত্তিক মোটরসাইকেল চলাচল করছে। অনেকে আবার সাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছেন।
কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হওয়া আবুল নামে একজন দিনমজুর বলেন, বিধিনিষেধের গত চার দিন হাতে থাকা টাকা খরচ হয়েছে ঘরে বসে। এখন ঘরে বসে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে, তাই এখন কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন তিনি।
ব্যাংকে লেনদেন করতে আসা সজল এক ব্যক্তি বলেন, তিনি ব্যবসা করেন। টাকা জমা দেওয়ার জন্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে তিনি ব্যাংকে এসেছেন।
এদিকে আগের চারদিনের তুলনায় আজ দোকানপাট বেশি খোলা রয়েছে। কোনও কোনও এলাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে না, এমন দোকানও খোলা থাকতে দেখা গেছে।
আবার ঘরে বসে থাকতে থাকতে অনেকের একঘেয়েমি চলে আসায় তা কাটাতে রাস্তায় বের হয়েছেন বলেও জানান অনেকে। এছাড়া কয়েকজন মিলে একসঙ্গে বিভিন্ন শপিংমলের সামনে বসে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।
আসাদগেট মোড়ে পুলিশের কোনও চেকপোস্ট না থাকলেও কিছুটা দূর ফার্মগেট মোড়ে পুলিশের কড়া চেকপোস্ট। চেকপোস্টের আগে থেকেই পুলিশ হাত উঁচিয়ে থামার নির্দেশ দিচ্ছে। থামার পরে প্রথমেই জিজ্ঞেস করা হচ্ছে মুভমেন্ট পাস আছে কি-না। মোহাম্মদপুর, গাবতলী, শ্যামলী, মিরপুর, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে একই চিত্র দেখা গেছে।
এছাড়াও পুলিশের চেকপোস্টের কারণে কোনও কোনও সড়কে যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। ফলে সেসব সড়ক ব্যবহার করতে গিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হচ্ছে অনেকের।