স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনাভাইরাস গোটা বিশ্ব থেকে এক সাথে, এক হয়ে বিদায় করতে হবে। এ কারণে, করোনা প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানে ধনী দেশ, গরিব দেশের মধ্যে সমতার প্রয়োগ ঘটাতে হবে। তা না করে কেবল অর্থের জোরে ধনী-গরিব দেশগুলোতে ভ্যাকসিন প্রদানে বৈষম্য করা হলে এই ভাইরাস বিশ্ব থেকে সহসাই বিদায় করা সম্ভব হবে না।
আজ বুধবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, করোনায় সংক্রমণের হার কমিয়ে আনা গিয়েছিল। কিন্তু মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, টিকা নিয়ে উদাসীনতা দেখিয়েছে। দলবেঁধে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়েছে। বিয়েসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মাস্ক ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব না মেনে জড়ো হয়েছে। এসব কারণে এখন সংক্রমণের হার অনেক বেশি বেড়ে গেছে। এতে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছি না।
মন্ত্রী বলেন, মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মানেনি, আর তাই সরকারকে লকডাউন দিতে হয়েছে। একইসঙ্গে ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এখন লকডাউন চলছে। মানুষকে এখন ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। নিজের জন্য, পরিবারের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য, অর্থনীতির জন্য সাধারণ মানুষকে সবকিছু ভেবে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য দিবস পালন করা হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘সকলের জন্য সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর বিশ্ব গড়ি’। এই দিবসের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সকলের সাথে সমতা ও ন্যায্যতা। এই সমতা পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য সমানভাবে কার্যকর হতে হবে। বর্তমান বিশ্ব করোনার অতিমারিতে আক্রান্ত ও দিশেহারা অবস্থায় নানারকম উদ্যোগ গ্রহণ করছে। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি দরিদ্র দেশগুলোও এই মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে দরিদ্র দেশগুলোও এই অতিমারির কারণে আরো দরিদ্র হয়ে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া করোনা প্রতিরোধে সরকারের ১৮টি নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলার উপর জোর দেন এবং উপস্থিত জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা দেন।
এ সময় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশিদ আলম, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জেবুন্নেছা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) নাজমুল ইসলাম ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি বার্ধন সিং রানা।