Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শীতের সকালে গলাব্যথার কারণ ও প্রতিকার

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৫৫ PM
আপডেট: ০৯ জানুয়ারী ২০২১, ১০:৫৫ PM

bdmorning Image Preview
ছবি: সংগৃহীত


শীতের সকালে আচমকা গলাব্যথা অনুভব করেন অনেকেই। এর কারণটা হলো টনসিল।

টনসিলজনিত সমস্যা যাঁদের থাকে, এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের। তবে এরকম সমস্যা হলে নিজেকে একটু সাবধানে থাকতে হবে। বারেবারে গরম জল খেতে হবে। ঠান্ডা জল একেবারেই খাওয়া চলবে না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধও খেতে হবে। কী কী কারণে গলার এই সমস্যা হয় জানুন।

ডিহাইড্রেশন: শীতকালে ঠান্ডার ভয়ে এবং রাতে যাতে বাথরুমে যেতে না হয় এইসব কারণের জন্য অনেকেই কম জল খান। এছাড়াও ঠান্ডা থাকে বলে অনেকেই জল এড়িয়ে চলেন। সারাদিনে হয়তো এক লিটার জল খেলেন। এতে শরীর যেমন শুকনো হয়ে যায় তেমনই গ্যাস, অম্বলের মতো সমস্যাও আসে। এছাড়াও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশি নুন জাতীয় খাবার খেলেও গলা শুকিয়ে যায়। মুখ দিয়ে শ্বাস নিলেও গলা শুকিয়ে আসে।

নাক বন্ধ হয়ে গেলে: ঠান্ডায় অনেক সময় নাক বসে যায় অজান্তেই। সেই সঙ্গে রাতে গায়ে অনেক চাপাও থাকে। এখান থেকে নাক বন্ধ হয়ে গেলে মুখ দিয়ে শ্বাস নিতে হয়। ফলে গলা শুকিয়ে যায়। গলা ব্যথাও হয়। শ্বাস নিতেও অসুবিধে হয়। অনেক সময় ডিপ্রেশন থেকেও গলা ব্যথা হয়।

অ্যালার্জি: অনেকেরই শীতে অ্যালার্জি হয়। সেখান থেকে নাক, কান, গলায়, এসব জায়গায় ঠান্ডা লেগে কফ বসে যায়। ফলে শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। সেখান থেকে গলা চুলকোনো, গলা ব্যথা এসব সমস্যাও আসে। আর রাতে গলার যে কোনও ব্যাথাই বাড়ে। সেই সঙ্গে শীতে ধূলোও বাড়ে। আবার বাড়ির সামনে গাছ থাকলে বা জানালা থাকলেও অ্যালার্জির সমস্যা বাড়ে।

ভাইরাল ইনফেকশন: গলার ৯০ শতাংশ সমস্যা আসে ভাইরাল ইনফেকশন থেকে। কিছু সাধারণ ঠান্ডা আর ফ্লু এর ভাইরাস থাকে, যাদের প্রভাবেও গলায় ইনফেকশন হয়। এছাড়াও এই ইনফেকশন নাক, গলাতেও হয়। সেই সঙ্গে বুকেও সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এর সঙ্গে জ্বর, ক্লান্তি এসবও থাকে।

চিকিৎসা পদ্ধতি: যদি সাধারণ ঠান্ডা লাগা হয়, তাহলে মোটামুটি সারতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। গরম জল খাওয়া, গার্গল করা, আদা দিয়ে চা এসব করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়াও ঠান্ডা লাগানো চলবে না একেবারেই।

সমস্যা এর থেকে বাড়লে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হবে। গলাকে আরাম দেবে এরকম লজেন্স মুখে রাখতে হবে। যাতে লালাগ্রন্থির ক্ষরণ ঠিক থাকে।

Bootstrap Image Preview