সারা পৃথিবীতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার জনপ্রিয়তা রয়েছে। ইতালিয়ান শহরটির ক্লাব নাপোলিকে স্মৃতির মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখার উপলক্ষ এনে দিয়েছিলেন তিনি। আর তাই নেপলসের মানুষের আবেগে নানাভাবে মিশে আছেন ৬০ বছর বয়সে পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া কিংবদন্তি। নাপোলির সঙ্গে অনেক মধুর স্মৃতি জড়িয়ে আছে কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো ম্যারাডোনার। ১৯৮৪ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত নাপোলিতে ছিলেন ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন এ তারকা ফুটবলারের হাত ধরেই দুইবার সিরি ‘এ’ জিতেছিলো নাপোলি।
ইতালির ক্লাবটিকে আরও অনেক ভালো স্মৃতি উপহার দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। ইতালির এই ক্লাবটিও তাকে ভালবেসেছে হৃদয় নিংড়ে। ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরও আত্মার সে সম্পর্কে যেনো এতোটুকু চিড় ধরেনি।
তাইতো এই ফুটবল কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধা জানাতে সান পাউলো স্টেডিয়ামের নাম বদলে ‘স্তাদিও ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনা’ রেখেছে ইতালির ক্লাবটি। এখন থেকে ম্যারাডোনার নামেই পরিচিত হবে স্টেডিয়াম।
গেল ২৫ নভেম্বর ৬০ বছর বয়সে ম্যারাডোনার মৃত্যুর পরই এই প্রস্তাব দিয়েছিলেন শহরের মেয়র। সে প্রস্তাব সিটি কাউন্সিলে পাস হয়েছে।
এ বিষয়ে এক বিবৃতিতে কাউন্সিল জানিয়েছেন, ‘ম্যরাডোনা তার প্রতিভা ও ফুটবল জাদুতে সাত বছর এই নাপোলির জার্সিকে সম্মানিত করেছেন। দুটি ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়নশিপ উপহার দিয়েছেন। ট্রফি জিতিয়েছেন এবং এই শহরের মানুষের ভালোবাসা জিতে নিয়েছেন।’
ফুটবল ভিত্তিক ওয়েবসাইট গোলডটকমের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘গতকাল শুক্রবার সান পাউলোর স্টেডিয়ামের নাম পাল্টানোর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে।’
প্রসঙ্গত, গত ২৫ নভেম্বর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ম্যারাডোনা। আর্জেন্টাইন তারকার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর তার সম্মানে সেদিন পুরো স্টেডিয়ামটি আলোকিত করে রাখা হয়। এ সময় শোকাহত ম্যারাডোনার ভক্তরা সমবেত হয় স্টেডিয়ামের বাইরে।