চলমান করোনা যুদ্ধের একেবারে সামনের সারিতে থেকে লড়াই করে যাওয়া নীরব যোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পিওর সোল শীর্ষক একটি ডিজিটাল ক্যাম্পেইন পরিচালনা করছে ফ্রুটিকা। যারা বিপন্ন মানুষের চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত দিন-রাত, যারা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানবতার সেবায় নেমে পড়েছেন, যারা কাছের মানুষদের ভালো রাখতে বুকের কষ্ট চেপে রেখে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন অন্যের ভালোর জন্য, অবলা অভুক্ত প্রাণীদের বোবা কান্না সইতে না পেরে যারা তাদের জন্য আহার নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন এ গলি- সে গলি- এমন পিওর সোল এর মানুষদের তুলে আনতেই এই ক্যাম্পেইন।
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন। সিলেটে করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই তিনি সম্মুখসারির একজন যোদ্ধা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায়। রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন এই আত্মত্যাগী চিকিৎসক।
নাফিসা খান একজন বাংলাদেশ লেখা ব্যানার লাগানো সিএনজিতে করে ঢাকার বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রীসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছেন মোহাম্মদপুরের তরুণী স্বেচ্ছাসেবী নাফিসা আনজুম খান। নাফিসার সাথে যোগাযোগ করা একহাজারেরও বেশি পরিবারের কাছে এই উপহার নিয়ে হাজির হয়েছেন তিনি। নাফিসার এই উদ্যোগের সাথে যোগ দিয়েছেন আরো অনেকেই।
এই দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন এলাকার রাস্তার প্রাণীগুলোও। খাবারের অভাবে তারা অভুক্ত বিচরণ করছে। অবলা এই প্রাণীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। তাদেরই একজন তৃণা ফাল্গুনী।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ-র উদ্যোগে সাড়া দিয়ে দেশজুড়ে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী দেশের নানা প্রান্তের দুস্থ ও অসহায় মানুষের কাছে নিয়মিত ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার কাজ করছেন। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য পিপিই, মাস্ক ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের কাজেও নিয়োজিত আছে প্রতিষ্ঠানটি।
এমন সব আত্মত্যাগী মানুষদের নিয়েই ফ্রুটিকার ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে দেশের ক্রান্তিকালে এগিয়ে আসা পিওর সোল-এর মানুষদের শ্রদ্ধা জানানো হবে। কারও নিজ এলাকায় কিংবা পরিচিত এমন পিওর সোল থাকলে তাঁর ছবি-সহ ফ্রুটিকার ফেসবুক পেজে কমেন্টের মাধ্যমে কিংবা ইনবক্স করে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
ক্যাম্পেইন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.facebook.com/purefrutika/