Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

করোনার দ্বিতীয় সুনামি কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে?

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪৮ PM
আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪৮ PM

bdmorning Image Preview


করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সুনামির ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিজ্ঞানীরা। তারা হুশিয়ারি দিয়েছেন যে, করোনার দ্বিতীয় থাবা হবে আরও ভয়ঙ্কর। এতে লাখ লাখ মানুষ মারা যাবে। দ্বিতীয় ধাপে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের সেন্টার ফর বায়োলজিকস ইভালুশান অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক পিটার মার্কস বলেন, করোনাভাইরাসের এখনও কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। আর এ কারণেই আমরা দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় দফা করোনা সুনামির আশঙ্কা করছি।

ইউএসএ টুডে জানায়, করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সুস্থ হওয়ার সঠিক তথ্য কারো জানা নেই। একইভাবে সার্স (সিভিয়ার একিউট রেসপাইরেটরি সিনড্রোম) ও মার্স (মিডল ইস্ট রেসপাইরেটরি সিনড্রোম) আক্রান্ত রোগীরও সুস্থ হওয়ার রেকর্ড রয়েছে।

তবে মানুষ থেকে মানুষে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে অনেকে কোনো ধরনের উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বিস্তৃতভাবে করোনা পরীক্ষা শুরু হয়নি। দেশটির আসলে কত শতাংশ মানুষ সুস্থ হয়েছে তা জানা অসম্ভব।

এছাড়া সুস্থ হতে একজন ব্যক্তির কয়েক মাস লেগে যাচ্ছে। এমনকি পুরোপুরি ভাইরাসমুক্ত হচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়ে যাচ্ছে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তি আরও বহু মানুষে সংক্রমিত করতে পারে, যে সংখ্যাটা জানা সম্ভব নয়।

হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের মহামারী বিশেষজ্ঞ মার্ক লিপসিথ বলেন, এর মানে প্রাকৃতিকভাবে আক্রান্তের সংখ্যাটা অগোচরেই থেকে যাচ্ছে।

মিনেসোটা রাজ্যের রোচেস্টারের মায়ো ক্লিনিকের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক গ্রিগোরি পোল্যান্ড বলেন, যদি এ ভাইরাস দ্বিতীয়বার ফিরে এলে আরও ভয়ঙ্কর হবে এবং প্রথমবার মারাত্মকভাবে আক্রান্ত এলাকায় আঘাত হানতে নাও পারে।

করোনাভাইরাস শুষ্ক ও ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় বহু দিন বাঁচে। আর ঠাণ্ডা মৌসুমে ফ্লুর প্রাদুর্ভাব ঘটা স্বাভাবিক। এ সময় এ ভাইরাস বহুদিন জীবিত থাকে এবং মানুষ ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে ঘরে বন্দি থাকে।

হাভার্ড চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের সেন্টার ফর কমিউনিকেবল ডিজেজ ডায়নামিকসের মহামারী বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক মাইকেল মিনা বলেন, ‘মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে শুরু করলে এ ভাইরাস আবারও ফিরে আসবে কিনা এ নিয়ে সঠিক ধারণা আমার নেই। তবে গ্রীষ্ম মৌসুম আমাদের এটা থেকে পরিত্রাণের সুযোগ আসতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি করোনাভাইরাস গ্রীষ্মে চলে যায় আর বর্ষায় এটি আবার পুনজ্জীবিত না হলে আমরা খুবই বিস্মিত হব।’

পোল্যান্ড বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো কোভিড-১৯ও অক্টোবর থেকে মে মাসে তাণ্ডব চালাবে এবং অক্টোবর ও নভেম্বরে বেশি ভয়াবহ হবে। ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো এটি শীতকালীন সময়ে দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে ঘুরে শীতের মাসে আবার উত্তর গোলার্ধে ফিরে আসবে।

Bootstrap Image Preview