আইসিসি কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার কারণে সবধরনের ক্রিকেট থেকে দূরে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে এ কারণে তার ব্যক্তিগত জীবন থেমে নেই। সবকিছুই করছেন নিয়মমাফিক।
গত দেড়-দুই সপ্তাহে মোটর বাইক ব্র্যান্ড ইয়ামাহার তত্ত্বাবধানে রাজধানী ঢাকা ও নিজ জেলা মাগুরায় শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ করেছেন সাকিব। এছাড়া পরিবারকে সময় দেয়ার পাশাপাশি অংশ নিচ্ছেন নিজের অন্যান্য বিজ্ঞাপনী কাজেও।
আর এবার তিনি যোগ দিলেন বিশ্ব ইজতেমায়। সাকিব আল হাসান, বাঁহাতি ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস, বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার সোহরাওয়ার্দী শুভসহ বেশ কয়েকজন জাতীয় ক্রিকেটার উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের আখেরি মোনাজাতে। আজ (রোববার) বেলা ১২টার দিকে হওয়া আখেরি মোনাজাতে স্বশরীরে উপস্থিত থেকে দোয়া করেছেন সাকিব-নাফীসরা।
ইজতেমার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার রাতেই ইজতেমা ময়দানে যোগ দেন জাতীয় ক্রিকেটাররা। তাদেরও আগে ইজতেমায় যোগ দিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহীম। তবে জরুরি কাজ পড়ে যাওয়ায় তিনি ফিরে গেছেন আখেরি মোনাজাতের আগেই।
শনিবার রাতে ইজতেমা ময়দানে পৌঁছে বিদেশি তাবুতে অবস্থান করেছেন সাকিব আল হাসানসহ অন্যান্য ক্রিকেটাররা। বিশ্ব ইজতেমার (নিজামউদ্দিন মারকাজের) সুরা সদস্য গণমাধ্যম সমন্বয়কারী মো. সায়েম নিশ্চিত করেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের আগমনের খবর।
সায়েম আরো জানান, নিজামউদ্দিন মারকাজের সা’দ অনুসারীদের আয়োজনে গত ১৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) থেকে তিনদিনের বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছিল। ১৯ জানুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমেই শেষ হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা।
ইজতেমার এ দফার আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে একদিন আগেই ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, সোহরাওয়ার্দী শুভ, জুনায়েদ সিদ্দিকী, রাকিবুল হাসান ও শাহরিয়ার নাফীস ইজতেমা ময়দানে পৌঁছান। তবে মুশফিকুর রহিম শনিবার রাতে জরুরি প্রয়োজনে ইজতেমা ময়দান থেকে চলে গেছেন।
মুশফিক জানান, শনিবার টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে গিয়েছিলাম। জরুরী কাজ থাকায় সন্ধ্যার পরই ইজতেমা স্থল থেকে চলে যেতে হচ্ছে। তাই আখেরি মোনাজাতে শরিক হতে পারবেন না বলে জানান মুশফিক।