খেলার মাঠে নিজেদের স্কিল ও সামর্থ্যের প্রদর্শনী দেখান ক্রীড়াবিদরা আর গ্যালারিতে বসে তাদের সার্বক্ষণিক সমর্থন দিয়ে যাওয়ার দায়িত্বটা পালন করেন দর্শকরা। মাঠে বসে খেলা দেখতে দেখতে একসময় দর্শক হিসেবেও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি পেয়ে যান অনেক আইকনিক দর্শক।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে যেমন টাইগার শোয়েব আলি কিংবা ভারতের ক্রিকেট সুধীর গৌতম অথবা পাকিস্তানের ক্রিকেটে আছে চৌধুরী আব্দুল জলিল ওরফে চাচা ক্রিকেট। আবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়াতে আছে একনিষ্ঠ সমর্থক গোষ্ঠি।
তেমনই একজন ছিলেন ভারতের ক্রিকেটের ‘সুপারফ্যান’খ্যাত চারুলতা প্যাটেল। যিনি কয়েক যুগ ধরে মাঠে বসে সমর্থন দিয়ে আসছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলকে। কিন্তু আজকের পর থেকে আর একবারের জন্যও মাঠে দেখা যাবে না সুপারফ্যান চারুলতাকে।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৮৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন সুপারফ্যান চারুলতা। এ খবর জানিয়ে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে লিখেছে, ‘ভারতীয় দলের সুপারফ্যান চারুলতা প্যাটেল সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন। খেলাটার প্রতি তার প্যাশন সর্বদা আমাদের অনুপ্রাণিত করবে। তারা আত্মার শান্তি কামনা করছি।’
ক্রিকেট দর্শক হিসেবে চারুলতার ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৯৮৩ সালে লর্ডসে প্রথমবারের মতো যখন বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ভারত, তখন গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। ছিলেন ২০১৯ সালে সবশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও। গ্রুপপর্বের এক ম্যাচে ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গেও দেখা করেন সুপারফ্যান চারুলতা।
দেখা হওয়ার পর তার উদ্দেশ্যে কোহলি লিখেছিলেন, ‘শ্রদ্ধেয় চারুলতা জী, আমাদের দলের প্রতি আপনার ভালোবাসা ও প্যাশন সত্যিই অনেক অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি আশা করি আপনি পরিবার নিয়ে খেলাগুলো উপভোগ করেন।’
এরপর টুইটারে কোহলি আরও লিখেন, ‘আমাদের সকল সমর্থকদের তাদের ভালো এবং সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। বিশেষ করে চারুলতা জী। তার বয়স ৮৭ এবং আমার দেখা সবচেয়ে উৎসাহী ও নিবেদিত সমর্থন তিনি। বয়স যে শুধু সংখ্যা, প্যাশনই আসলে সব বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করে। তার দোয়া নিয়ে আমরা সামনের দিকে তাকাচ্ছি।’