সংরক্ষিত নারী আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর কেন বারবার মার খায়? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো আমারও এই প্রশ্ন। এর জবাব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছেই আছে। বারবার মার খায় কারণ, প্রথমবার মার খাওয়ার পর কোনো বিচার হয়নি। এতে প্রমাণ করে, এ দেশে আইনের শাসন তার নিজ গতিতে চলে না। চলে সরকারের গতিতে। আইন সরকারের গতিতে চলে বলেই সাগর রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময় ৭০ বারের মতো পেছানো হলো। যেকোনো ঘটনা ঘটলে সরকার যেভাবে চায়, ঠিক সেভাবেই আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়। অবিকল পিক অ্যান্ড চুজ।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে একটি জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
রুমিন বলেন, ‘দেশে আইনের শাসনের অনুপস্থিতি ভয়াবহ। মানবাধিকার লঙ্ঘনের কিছু নজির আমরা দেখতে পেলাম আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাম্প্রতিক রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন। ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন। ২০১৯ সালে গড়ে প্রতিদিন একজনের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড খুব সম্ভব বৈধ হতে যাচ্ছে। কারণ গতকাল আমরা দেখেছি, সরকার ও বিরোধী দুদলই বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পক্ষে কথা বলেছে।’
বিএনপির এ সংসদ সদস্য বলেন, ‘গ্রেফতারের আগে নির্যাতনে মারা গেছে ছয় জন। গুলিতে নিহত হয়েছেন আরও ১২ জন। এরকম শারীরিক নির্যাতন, ধর্ষণ অপহরণের পর ৪৮৭ জন শিশু নিহত হয়েছে। গণপিটুনিতে মারা গেছে ৬৫ জন। ১৪২ জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতন, হামলা, হুমকির শিকার হয়েছেন। কর্তৃত্ববাদী সরকারের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার প্রধান লক্ষ্য, অস্ত্র ভীতির পরিবেশ তৈরি করা। যেকোনো উপায়ে ভিন্নমত দমন। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার, পুলিশ প্রশাসনকে ব্ল্যাংক চেক দেয়া ও বিচার প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ।’