শেষ হচ্ছে আরো একটি বছর। আর ক্রীড়া বিশ্লেষকরা মেলাতে শুরু করেছেন প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব। বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে আট নম্বরে শেষ করা বছরটি বাংলাদেশের জন্য সুখকর হয়নি বলে মনে করেন, ক্রিকেটার মোহাম্মদ আশরাফুল।
অন্যদিকে, ফুটবলে এসএ গেমসে ব্যর্থ হলেও সার্বিক দিক দিয়ে ভালো একটি বছর কাটিয়েছে জামাল ভুঁইয়ারা, মত জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের। তবে, ভিন্ন মত পোষন করেন দেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক।
বিশ্বকাপের বছর। বাইশ গজের মায়াবী ময়দানে ভালো-মন্দের একটা মিশ্র বছর পার করলো টাইগাররা। ক্রাইস্টচার্চ, ডাবলিন কিংবা কলকাতা। গল্পটা স্বপ্ন পূরণ কিংবা স্বপ্ন ভঙ্গের।
বছর শেষে খুলতে হবে খাতা। হিসেব কষতে হবে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির। টাইগারদের টাইমলাইন জুড়ে আলোর চেয়ে অন্ধকারই বেশি। জাতীয় দলের বাইরে থেকে তৃতীয় নয়নে টাইগারদের পারফরম্যান্স মুল্যায়ন করলেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
ক্রিকেট যদি হয় মুদ্রার একপিঠ তবে অন্যপিঠে বাংলাদেশের প্রাণের খেলা ফুটবল। যেখানে ফ্লাড লাইট ফেললে সাফল্যের রং চোখে পড়বে বেশি। ইংলিশ কোচ জেমি ডের হাত ধরে অবিশ্বাস্য এক বছর পার করলো বাংলাদেশ। যেই গল্পের পান্ডুলিপিতে সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভারতকে রুখে দেয়ার মত ঘটনা। পারফরম্যান্সের বিচারে জীবন-জামাল ভূঁইয়াদের ফুল মার্ক্স দিলেন জাতীয় দলের সাবেক কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
মানিক খুশি হলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলের মানে সন্তুষ্ট নন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা কোচ মারুফুল হক। ফুটবলের উন্নয়নে শোনালেন সেই ধ্রুব সত্য।
নতুন বছরে অন্ধকার কেটে গিয়ে আরো আলোকিত হোক, মিলে যাক অপ্রাপ্তির গল্প গুলো। দেশের ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে প্রত্যাশা আপাতত এটুকু।