চীনের উইঘুর ইস্যুতে মেসুত ওজিলের পাশে দাঁড়িয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেই। তবে উইঘুরদের উপর দেশটির কঠোরতা নিয়ে ওজিল যেভাবে কথা বলেছেন সেটাকে ভুল বলছেন ইয়াইয়া তোরে।
উইঘুরদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে জার্মান ফুটবলার ওজিল সম্প্রতি একটি টুইট করেন। যার জেরেই যত বিতর্ক। বিতর্কে ঘি ঢালছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পম্পেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ওজিলকে সমর্থন দেয়ার কথা জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘চীনের কমিউনিস্ট পার্টির প্রচারমাধ্যম মেসুত ওজিল এবং আর্সেনালের পুরো মৌসুমের খেলা সেন্সর করতে পারে, তবে সত্য বিরাজ করবেই। সিসিপি বিশ্ব থেকে উইঘুর এবং অন্যান্য ধর্মীয় বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো আড়াল করতে পারবে না।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাশে পেলেও বার্সেলোনা ও ম্যানচেস্টার সিটির সাবেক মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরেকে পাশে পাচ্ছেন না ওজিল। পরিস্থিতি ‘জটিল’ কারণ তারা দু’জনেই মুসলিম। ওজিলের সাথে দ্বিমত পোষণ করে তোরে বলেছেন, অ্যাথলেটদের রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা ঠিক হবে না।
আইভরি কোস্টের সাবেক এ ফুটবলার বলেন, ‘ফুটবলারদের ফুটবলের সঙ্গে এবং রাজনীতিবিদদের রাজনীতির সঙ্গে থাকতে হবে। আপনি এ ধরনের ইস্যুর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না, কারণ এটি বড় সমস্যা। একজন মুসলমান হিসাবে এটি জটিল বিষয় এবং এটি তার(ওজিল) নিজের পছন্দ। তিনি তার মন্তব্য করেছেন, তবে আমার মনে হয় এটা বলা ভুল ছিল।’
বার্সা-ম্যানচেস্টারে খেলার পর বর্তমানে চীনে আছেন তোরে। পাঁচ মাস হল দেশটির ক্লাব কিংদাও হুয়াংহাইয়ে যোগ দিয়েছেন। চীনে ব্যবসার জন্য সাংহাইতে একটি রেস্টুরেন্টও খুলেছেন তোরে। তাই মনে করা হচ্ছে, সব হিসাব-নিকাষ করে বিতর্ক থেকে আগেই নিজেকে সরিয়ে রাখছেন এই আইভরিয়ান।
কী লিখেছিলেন ওজিল? ১৩ ডিসেম্বর করা টুইটে ওজিল চীনের উইঘুর মুসলিমদের ‘নির্যাতনের প্রতিরোধকারী যোদ্ধা’ বলে প্রশংসা করে দেশটির নীতির কঠোর সমালোচনা করেন। পাশাপাশি উইঘুরে নির্যাতিতদের রক্ষায় মুসলিম বিশ্ব কেনো এগিয়ে আসছে না সেজন্য হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিশ্বের নীরবতায় অবাক এ জার্মান ফুটবলার।
ওজিল নিজে তুরস্ক বংশোদ্ভূত জার্মান মুসলিম। তার বক্তব্যের সঙ্গে আর্সেনালের কোনো সম্পর্ক নেই বলে বিবৃতি দিয়েছে ইংলিশ ক্লাবটি। মন্তব্যকে ওজিলের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন বলেছে।
ওজিলের কথার জেরে চীনের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ব্রডকাস্টার সিসিটিভি গত রোববার আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচ দেশটিতে দেখানো বন্ধ করে দেয়। দেশটির ফুটবল সংস্থা বলেছে, ওজিলের মন্তব্য অনভিপ্রেত।