বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩৮ কিলোমিটার বেগে বল ছুঁড়েছেন ১৯ বছর বয়সী মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের পেসার বোলিং করতে পারেন আরও জোরে। প্রথম ম্যাচে কিছুটা স্নায়ুচাপ থাকায় গতির সঙ্গে আপোস করেছেন। লাইন-লেন্থ ঠিক রাখাতেই ছিলেন মনযোগী।
সত্যি বলতে অতটা জোরে আজ করিনি। প্রথম ম্যাচ তো, লাইন-লেন্থ ঠিক রাখতে চেয়েছি। প্রথম ম্যাচ, তাই একটু নার্ভাস ছিলাম। এজন্য গতি অত দিতে পারিনি। পরবর্তীতে হয়ত জোরে বল করতে পারব। এখন আত্মবিশ্বাসটা এসেছে।’
এমনিতে মুগ্ধর বলের গতি ১৪০-এর উপরে। সর্বোচ্চ তুলেছেন ১৪৩। প্রথম ম্যাচে যে লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছেন সেটিতে সফল এ ডানহাতি পেসার। কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে হাই-স্কোরিং ম্যাচে ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে নিয়েছেন একটি উইকেট। ধরেছেন দুর্দান্ত একটি ক্যাচ। দল হেরে না গেলে অভিষেক ম্যাচের পারফরম্যান্স হতো স্মরণীয়।
রংপুরের আরেক এক্সপ্রেস বোলার তাসকিন আহমেদের জায়গায় বুধবারের ম্যাচে খেলেন মুগ্ধ। প্রত্যাশার চাপ সামলেছেন দারুণভাবে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসলে ভবিষ্যত লক্ষ্যের কথা জানতে চাওয়া মাত্রই মুগ্ধ জানিয়ে দেন খেলতে চান সামনের বছরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে।
‘নিঃসন্দেহে লক্ষ্য থাকবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ যেন খেলতে পারি।’
মুগ্ধ যখন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে ছিলেন গতির ঝড় তুলেই আকৃষ্ট করতেন সবাইকে। ২০১৮ সালে সাইফ হাসান-আফিফ হোসেনের নেতৃত্বে যুবারা যখন বিশ্বকাপ খেলতে যাবে নিউজিল্যান্ডে, তখনই চোট পেয়ে ছিটকে যান দলের এক্সপ্রেস বোলারটি। লম্বা সময়ের জন্য চলে যান ক্রিকেটেরই বাইরে।
এবছর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ফেরেন মাঠে। নভেম্বরে শেষ হওয়া জাতীয় লিগে খেলেছেন তিনটি ম্যাচ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার উইকেট ৯টি। আর ৬টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে উইকেট ৮টি। আহামরি পারফরম্যান্স না থাকায় বিপিএলে শুরুতে দল পাননি মুগ্ধ। ড্রাফটের বাইরে থেকে চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে তাকে নেয় রংপুর। দলটির পরামর্শক ও জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারের মাধ্যমে সুযোগ পান খেলার।