পৌষ মাসের শুরুতেই তীব্র ঠাণ্ডার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। এর সঙ্গে ঘন কুয়াশা মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছে রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) কুড়িগ্রামে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সকাল ৯টা পর্যন্ত কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও ছিন্নমূল মানুষ। কুয়াশার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে যান চলাচল। ফলে দিনেরবেলা সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করতে দেখা গেছে।
জেলার চরাঞ্চলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেখানকার অধিবাসীরা শীতের প্রকোপে আগুন জ্বালিয়ে ঠাণ্ডা নিবারণের চেষ্টা করছেন। নদ-নদীর অববাহিকায় ঘন কুয়াশাসহ শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এ দিকে শীতের কারণে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে শিশুরা অত্যধিক ঠাণ্ডার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশি।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২৭ জন শিশুসহ ৩১ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬ জন ডায়রিয়া ও ৩ জন নিউমোনিয়া রোগী ভর্তি হয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মেঝেতে স্থান নিতে বাধ্য হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাকিরুল ইসলাম জানান, শীতজনিত রোগের প্রকোপ ব্যাপক আকারে দেখা দেয়নি। ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, দুই-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও হ্রাস পেয়ে জেলায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ২৪ কিংবা ২৫ ডিসেম্বর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে।