নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের লক খুলতে পারছিলেন না কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর বানুরকুটি গ্রামের মিজানুর রহমান। একপর্যায়ে লক খোলার জন্য প্রতিবেশী কুতুব আলীর দ্বারস্থ হন তিনি। পরে কুতুব মোবাইলটি নিয়ে মেকানিকের কাছে গেলে তিনি লক খুলে দেন।
এ সময় মোবাইলটিতে পিইসি পরীক্ষা দেওয়া ছাত্রী পুতুলকে (ছদ্মনাম) ধর্ষণের একাধিক ভিডিও দেখতে পান কুতুব। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ভুক্তভোগী শিশুর বাবাকে জানান তিনি। পরে মেয়ের কাছে এ বিষয়ে জানতে চান বাবা। কিন্তু বাবাকে সব কথা বলতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি। শেষ পর্যন্ত শিশুটির পরিবার মিজানুরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে থানায় মামলা করে। পরে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বানুরকুটি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।মিজানুর একই গ্রামের মুনছুর মণ্ডল ওরফে পান মামুদের ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান আছে। সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় মুদি ব্যবসা করেন তিনি।
এ বিষয়ে শিশুটির চাচা মামলার সাক্ষী জানান, এক মাস আগে মিজানুরের দোকানে যায় তাঁর ভাতিজি। এ সময় কৌশলে তাঁর ভাতিজিকে দোকানের ভেতর ডেকে নেয় মিজানুর। পরে গলায় চাকু ঠেকিয়ে ধর্ষণ ও মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। ধর্ষণের ঘটনা কাউকে বললে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। পরে একই কায়দায় একাধিকবার তাঁর ভাতিজিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।
ভুরুঙ্গামারী থানার ওসি ইমতিয়াজ কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিজানুর ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। ভিডিওর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তদন্ত করে দেখছি। সত্যতা পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আলাদা আইনেও মামলা হতে পারে।’