গলায় সোনার চেন, চোখে দামি সানগ্লাস আর হাতে পরা দামি আংটি। শিশুদের জন্য রয়েছে বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, রয়েছে বড় পানশালা, রেস্টুরেন্ট। তবে সব থেকেও একটি গ্রামের বাসিন্দাদের যে জিনিসটা নেই তা হল, গায়ের জামা-কাপড়। সদ্য আধুনিক হয়ে ওঠা কোনো আদিবাসী গ্রাম নয়, এই গ্রামের বাসিন্দারা সবাই খাঁটি ব্রিটিশ। ব্রিটেনের হার্টফোর্ডশায়ারের এই গ্রামের নাম স্পিলপ্লাজ।
আন্তর্জাতিক সংবাদামধ্যম সূত্রে জানা যায়, ১৯২৯ সালে লন্ডন ছেড়ে চার্লস ম্যাকস্কি এবং তার স্ত্রী ডোরথি এই অঞ্চলে এসে বসবাস শুরু করেন। প্রথমে এই অঞ্চলে জমি কিনে তাবু তৈরি করে দু’জনে বসবাস শুরু করেন। এলাকাটির নাম দেন ‘স্পিলপ্লাজ’, যার অর্থ হল খেলার জায়গা। সপ্তাহান্তে ম্যাকস্কি আর ডোরথির পরিচিতরা তাদের সঙ্গে দেখা এখানে করতে আসতেন। এভাবে ধীরে ধীরে ম্যাকস্কি আর ডোরথির অতিথিদের অনেকে এখানে বসবাস শুরু করেন। ১২ একর জমিতে গড়ে ওঠা এই গ্রামে বর্তমানে মোট ৫৫টি বাড়ি রয়েছে।
গ্রামটিতে বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে রয়েছে গৃস্থলির প্রয়োজনীয় যাবতীয় আধুনিক সরঞ্জাম। এমন কী আধুনিক, কেতাদস্তুর জামা-কাপড়ও রয়েছে তাদের কাছে। গ্রামের বাইরে গেলে জামা-কাপড় পরেই যান তারা। তবে গ্রামে থাকার সময় নগ্নতাই পছন্দ তাদের।
স্পিলপ্লাজ গ্রামের বাসিন্দারা এই গ্রামটিকে ব্রিটেনের সবচেয়ে পুরনো নগ্নতাবাদী অঞ্চল বলে দাবি করেন।
বাসিন্দাদের এই নগ্নতাবাদকে সমর্থন না করতে পারলে, এখানে এক চিলতেও জমি জায়গা কেনা যাবে না। তবে স্পিলপ্লাজের বাসিন্দাদের নগ্নতাবাদকে মেনে নিতে পারলে সেখানে পানির দরে জমি পেয়ে যেতে পারেন আপনিও।