সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভারতের সঙ্গে করা বাংলাদেশের সমঝোতা স্মারক নিয়ে পোস্ট দেন বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ।এই স্ট্যাটাসটি কাল হয়ে আসে তার জীবনে। স্ট্যাটাস দেওয়ার জেরে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। আর এবার আবরারের আইডিটি ‘রিমেম্বারিং’ করলো ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তার মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বিশ্ববিদ্যালয়ের বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।
এদিকে আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর চকবাজার থানায় হত্যা একটি হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বরকতুল্লাহ। এ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।
আর আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।