লালমনিরহাট সদর উপজেলার ভাটিবাড়ী আলী আশরাফ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সুপার মাওলানা জিল্লুর রহমানকে (৩৫) নারীসহ আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় জনতা।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) মধ্যরাতে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে অসামাজিক কার্যকলার্পের সময় নারীসহ ওই সুপারকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
আটক মাদ্রাসা সুপার লালমনিরহাট সদর উপজেলার তেলীপাড়া গ্রামের নোহর ইসলামের ছেলে। ওই নারী উপজেলার চর খাটামারী গ্রামের বাসিন্দা। তারা দুজনেই অবিবাহিত বলে জানা গেছে।
ওই মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সহ-সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, মঙ্গলবার রাতে অফিস কক্ষের দরজা বন্ধ করে মাদ্রাসা সুপার জিল্লুর রহমান অপরিচিত এক নারীর সঙ্গে আনন্দ গল্পে মেতে ওঠেন।
এসময় মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্ররা স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা সেখানে যায়। মাদ্রাসা সুপার বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই নারীকে কক্ষের আলমারির ভেতর লুকিয়ে রাখেন এবং এলাকাবাসীর মুখোমুখি হয়ে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন।
স্থানীয় লোকজন প্রথমে বোকা বনে গেলেও পরবর্তীতে মেয়েটিকে আলমারিতে লুকিয়ে রাখার বিষয়টি টের পেয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে। আব্দুর রহিম আরও বলেন, আমরা প্রথমে ওই মাদ্রাসা সুপার ও নারীসহ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে যাই। তার পরামর্শ অনুযায়ী দুজনকে পুলিশে সোপর্দ করি।
মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মহসীন আলী জানান, যেহেতু মাদ্রাসা সুপারসহ নারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে, এখন পুলিশই আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। এমন ব্যক্তিকে মাদ্রাসার সুপার হিসেবে নিয়োগ দেয়াটা তাদের চরম ভুল সিদ্ধান্ত ছিলো উল্লেখ করে ভবিষ্যতে মাদ্রাসার জন্য শিক্ষক নিয়োগে সতর্ক থাকবেন বলেও জানান তিনি।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, এ ঘটনায় আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রেমঘটিত বলে জানা গেছে।