পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি শুভঙ্কর হাওলাদারকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি সাইফুল ইসলামকে (২১) গ্রেফতার করেছে বাউফল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাতে বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের মিল ঘর এলাকা থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসামিকে হাজির করে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মইনুল হাসান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাইফুল জানিয়েছে শনিবার (২২ জুন) শুভঙ্কর হাওলাদার ও তার লোকজন ১০০ টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে সাইফুলকে মারধর করে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সে প্রতিজ্ঞা করে শুভঙ্করকে মারবে। এর প্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সাইফুল তার পিতার মোবাইল দিয়ে ফোন করে শুভঙ্করকে দেখা করতে বলে। সন্ধ্যায় তারা ছোলাবুনিয়া বাজারে একত্রিত হয়। এক পর্যায়ে সাইফুল তাকে নিয়ে আশুরিয়া বাজার থেকে দক্ষিণদিকে গোলাবাড়ি এলাকায় গিয়ে শুভঙ্করের সাথে থাকা সাইকেলটি বাজারের পাশে বাগানের মধ্যে রাখে।
তিনি আরও জানান, এরপরে গাঁজা খাওয়ার কথা বলে আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের আতোষখালী গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে জয়নালের বাড়ির পাশে গোলাবাড়ি খালের পাশে পৌঁছালে রাত আনুমানিক ৯টা ৫০ মিনিটে শুভঙ্কর প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলে আসামি সাইফুল তাকে পেছন থেকে পিঠে লাথি মারে এবং শুভঙ্কর উপুর হয়ে পড়লে সাইফুল তার পিঠের উপরে উঠে সাথে থাকা রুমাল দিয়ে শুভঙ্করের গলায় ফাঁস দিলে শুভঙ্কর মারা যায়। পরে সাইফুল তার কোমরের বেল্ট দিয়ে শুভঙ্করের গলায় বেঁধে পাশের খালের পানিতে ফেলে দেয়।
শুভঙ্করের বাইসাইকেল ও মোবাইল গলাচিপা থানার লামনা গ্রামে সাইফুলের খালু রহিম মোল্লার বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাইফুল ঢাকায় রং মিস্ত্রির কাজ করে এবং শুভঙ্করের বাল্যবন্ধু।
এই ঘটনায় গত ২৬ জুন শুভঙ্করের বাবা সত্য হাওলাদার অজ্ঞাত আসামি দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আজ আদালতের মাধ্যমে আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকালে বাউফলের নওমালা গোলাবাড়ি খাল থেকে পুলিশ শুভঙ্করের ভাসমান লাশ উদ্ধার করে।