হলিউড অভিনেত্রী ডাকোটা জনসন জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ‘ফিফটি শেডস’ সিরিজে অভিনয় করে। এই সিরিজের তিনটি ছবিতেই ডাকোটা বেশ খোলামেলা ও অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। তারপর থেকেই তিনি আলোচনার শীর্ষে। এবার তিনি নারীদের পিরিয়ড জটিলতা নিয়ে মুখ খুলে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
ডাকোটা জানালেন, 'প্রতি মাসের এই কয়েকটা দিন আমার কাছে দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। হরমোনের পরিবর্তন আমার মনে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও শারীরিক সমস্যা তো আছেই। এমনকী চিকিৎসকেরাও বুঝতে পারেন না আমাকে ঠিক কি ধরনের ওষুধ দেওয়া উচিত। এই সমস্যায় বার্থ কন্ট্রোল যে সব পিল দেওয়া হয় তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। পিরিয়ড আমার জীবন শেষ করে দিল।'
‘ফিফটি শেডস’ সিরিজে খোলামেলা উত্তেজক দৃশ্যে অভিনয়ের কারণে যে তাঁকে কী পরিমাণ মানসিক চাপ গ্রহণ করতে হচ্ছে, তা প্রকাশ করেছিলেন একটি মার্কিন সাময়িকীকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। ডাকোটা তখন জানান, এই ছবির পর তাঁকে মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল।
ই এল জেমসের লেখা উপন্যাস ‘ফিফটি শেডস’-এর ট্রিলজি নিয়ে সিনেমা তৈরি শুরু হয় ২০১৫ সালে। প্রথম ছবি ফিফটি শেডস অব গ্রে মুক্তি পায় ২০১৫ সালে, ফিফটি শেডস ডার্কার মুক্তি পায় ২০১৭-তে ও ‘ফিফটি শেডস ফ্রিড’ মুক্তি পায় ২০১৮ সালে। এই ছবিতে ডাকোটা অভিনয় করেছেন জেমি ডোরনানের বিপরীতে। প্রথম থেকে শেষ ছবি অবধি-প্রতিটি কিস্তিতেই নায়ক-নায়িকাকে বেশ অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় করতে হয়েছে। মার্কিন সেন্সর বোর্ড ছবিটিকে শুধু প্রাপ্তবয়স্কদের দেখার অনুমোদন দিয়েছিল।
এল সাময়িকী ডাকোটাকে ‘ফিফটি শেডস’ নিয়ে অনেক প্রশ্নই করে। তারা জানতে চেয়েছিল, এই ছবির কাজ শেষ হওয়ার পর কেমন প্রভাব পড়েছে তাঁর ওপর? জবাবে ডাকোটা বলেন, ‘এটা আমাকে ছিঁড়েখুঁড়ে খাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত আমাকে থেরাপি নিতে হয়েছিল। আমি মানসিক চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছিলাম।’ তবে এখন ডাকোটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসেছেন। কারণ ‘ফিফটি শেডস’ সিরিজের সঙ্গে পাট চুকেছে তাঁর। নতুন ছবির দিকে এখন তাঁর চোখ। দেখা যাক, এবার আবার কোন অবতারে দর্শকের সামনে আসেন তিনি।