সিগারেটকে সুবিধা দিয়ে বিড়িকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না মন্তব্য করে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমি জানি বিড়ি-তামাক খাওয়া মানুষের মৃত্যুর কারণ। কিন্তু সিগারেটকে ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে বিড়িকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে প্রস্তাবিত ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে একথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
টিপু মুনশি বলেন, আমার এলাকাতেই (রংপুরে) প্রায় ৫০-৬০ হাজার বিড়ি শ্রমিক কাজ করে। তাদের বিকল্প চাকরির একটা ব্যবস্থা না করে তাদের সরিয়ে দিলে তারা বাঁচবে কী করে? পাশাপাশি সিগারেটে ট্যাক্স সুবিধা দিয়ে বিড়িকে বঞ্চিত করা ঠিক হবে না।
বাজেটে পোশাক খাতে ভর্তুকি ১ শতাংশ থেকে বাড়িযে ২ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সঠিক পথেই এগুচ্ছি। সবক্ষেত্রে আমরা এগিয়েছি। আগামী ৫ বছর পর এই সংসদে ১০ লাখ কোটি টাকার বাজেট করতে পারব বলে মনে করি।
তিনি আরও বলেন, বিনিয়োগ ২০০৫-০৬ সালে যে অবস্থা ছিল সেটার প্রায় সাড়ে ৩ গুণ অর্থাৎ ৩৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। চলতি অর্থবছরে রপ্তানি আয় ৩৩ বিলিয়ন, এবার হয়তো ৪০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করতে পারব। আমাদের টার্গেট ২০২১ সালে রপ্তানি আয় বাড়িয়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া।
বর্তমান সরকারের আমলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকায় অনেকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন জনগণ।
টিপু মুনশি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সাহসী মানুষ। তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধারণ করে দেশটাকে স্বপ্নের সোনার বাংলা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে। উন্নয়ন দৃশ্যমান।
কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে তিনি বলেন, কালোটাকা কথাটা ঠিক না। এটা অপ্রদর্শিত অর্থ বলা সঠিক। আমরা মনে করি অপ্রদর্শিত অর্থকে সুযোগ দিলে নতুন করে বিনিয়োগ বাড়বে। কালো টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগের সুযোগ না দিলে যে কোনো উপায় ওই টাকা দেশ থেকে বের হয়ে যাবে।