পিরোজপুরে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধ ও স্থাপনকৃত মিটার খুলে নিতে এক মাসের আল্টিমেটাম দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
বৃহস্পতিার (২০ জুন) সকালে পিরোজপুরের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে আয়োজিত প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবীতে খুলনা-বরিশাল মহাসড়কে বলেশ্বর ব্রিজ এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা এ আল্টিমেটাম দেয়।
সড়ক অবরোধ কালে বক্তারা বলেন, প্রি-পেইড মিটারে কি পরিমাণ জালিয়াতি হচ্ছে তার প্রমাণ মিলবে শুধুমাত্র মিটার ভাড়া আদায় সংক্রান্ত বিষয়টিকে ঘিরেই। কেননা কতদিন পর্যন্ত মিটার ভাড়া নেওয়া হবে তা নির্দিষ্ট করে কোথাও বলা নেই এমনকি মিটারের দামও বলা হয়নি।
এতে পিরোজপুরের প্রি-পেইড মিটার গ্রাহকরা শঙ্কিত। পুরনো মিটারটি খুলে যখন নতুন প্রি-পেইড মিটার লাগানো হয়েছিলো তখন বলেছিলো মিটারের জন্য কোনো মূল্য নেওয়া হবে না। এখন মিটার ক্রয় বাবত প্রতি মাসে টাকা কেটে নিচ্ছে।
গ্রাহকরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ডিজিটাল এ মিটারে ব্যাংকে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে রিচার্জ করতে হচ্ছে। ১ হাজার টাকা রিচার্জ করলে ৮৩৭.৩৮ টাকার বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বাকি টাকা থেকে মিটার ভাড়া হিসেবে ৪০ টাকা, ডিমান্ড চার্জ ৭৫ টাকাসহ ৫ শতাংশ ভ্যাট হিসেবে ৪৭ .৬২ টাকা কেটে নেওয়া হয়।
ডিজিটাল মিটারে অতিরিক্ত বিল এলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে সমাধান পাওয়া যেতো। কিন্তু এখন সমস্যা আরো জটিল। আগে যে গ্রহকের প্রতি মাসে ৭০০ টাকা বিল হতো সে এখন প্রি-পেমেন্ট পদ্ধতিতে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করে মাসে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত বিল দিতে হচ্ছে।
পরে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে ঘন্টাব্যাপী এই সড়ক অবরোধ তুলে নেয় স্থানীয় বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।