কিছুক্ষণ পরই ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ শুরু হচ্ছে। এই ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার শেষ নেই ক্রিকেট অনুরাগিদের। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানেই ভিন্ন রকম এক লড়াই। আর সেটা বিশ্বকাপ হলে তো কথাই নেই। দুই দলের মাঠের লড়াই দেখতে উৎসুক থাকে সারা বিশ্বের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
মুখোমুখি লড়াইয়ে ভারতের চেয়ে এগিয়ে পাকিস্তান। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৩১ বার। এর মধ্যে ৭৩টি ম্যাচে জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আর ভারত জিতেছে ৫৪টি। ৪টি ম্যাচের কোনো ফল হয়নি। কিন্তু বিশ্বকাপে সাফল্যটা একচেটিয়া ভারতের। টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ভারতকে একবারও হারাতে পারেনি পাকিস্তান। এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে ৬ বার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। প্রতিবারই জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ভারত।
ইতিহাস ও পরিসংখ্যান যাই বলুক না কেন, খেলাটা হবে মাঠে। তাই অঙ্কটা ভালোই জানেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। মাঠে খেলেই জিততে হবে বিরাট কোহলিদের। আর তাই এই ম্যাচের আগে ভারতীয় দলকে সতর্ক করলেন তিনি।
ভারতের সাবেক এই অধিনায়কের মতে, নিজেদের ফেভারিট ভেবে মাঠে নামা ঠিক হবে না কোহলিদের। তাতে হারের সম্ভাবনা থাকবে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের উদাহরণ টেনেছেন গাঙ্গুলী। ওই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠেছিল ভারত। কিন্তু শক্তিশালী সেই দলটি ফাইনালে হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে।
সেই অভিজ্ঞতা থেকে কোহলিদের প্রতি সতর্ক থাকার পরামর্শ গাঙ্গুলীর। তিনি বলছেন, ‘ভারতকে খুব সতর্ক থাকতে হবে। নিজেদের ফেভারিট ভেবে খেলতে নামা যাবে না। আমার মনে হয়, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে তাদের মধ্যে এমন ভাবনা ছিল এবং পাকিস্তান তাদের হারিয়ে দেয়। এটা অসাধারণ এ ম্যাচ হতে যাচ্ছে।’
পাকিস্তান সব সময়ই কঠিন প্রতিপক্ষ। তার কারণ দলটির ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ বৈশিষ্ট্য। যেকোনো অপ্রত্যাশিত ফল বের করে আনায় সিদ্ধহস্ত দলটি। ফলে দেখে-শুনে সঠিক পরিকল্পনা নিয়েই ভারতের নামা উচিত বলে মনে করেন গাঙ্গুলী।
তার কথায়, ‘পাকিস্তান সবসময়ই আনপ্রেডিক্টেবল। তারা খুবই কঠিন প্রতিপক্ষ। সুতরাং তাদের হালকা ভাবে নেয়ার কোন উপায় নেই। ভারতকে প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে নিশ্চিত হয়ে, চিন্তাভাবনা করে এবং পরিকল্পিত ভাবে।’