Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে পটুয়াখালীর ঈদ বাজার

জাহিদ রিপন, পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০১৯, ০৫:৪২ PM
আপডেট: ২৮ মে ২০১৯, ০৫:৪২ PM

bdmorning Image Preview
ছবিঃ বিডিমর্নিং


ধানের বাজারে রয়েছে খরা আর মৎস্য শিকারে রয়েছে অবরোধ। ফলে শেষ সময়ে এসে জমে উঠেছে পটুয়াখালীর ঈদ বাজার। তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বিপনী বিতান থেকে ফুটপাত সর্বত্রই বিভিন্ন বয়সী ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়। 

যতই ঘনিয়ে আসছে ঈদের দিন ততই জমজমাট হয়ে উঠছে শহর থেকে গ্রামীন জনপদের দোকানে ক্রেতাদের ভীড়। তবে শিশুসহ নারীদের আধিক্যই বেশি। সাধ আর সাধ্যের সমন্বয়ে প্রিয়জনের জন্য পছন্দের পোষাকসহ অন্যান্য সামগ্রী কেনায় ব্যস্ত তারা।

তৈরী পোশাক, কসমেটিকস, গহনা, পাদুকা, মুদী-মনোহারীসহ আতর, টুপির দোকানেও গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের সামলাতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন বিক্রেতারা। রাত জেগে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত দর্জিপাড়ার কারিগরদের নেই দম ফেলার সময়।

এদিকে ঈদ বাজারের কেনাকাটা, রাস্তায় নির্বিঘ্নে চলাচল, ছিনতাই, চাঁদাবাজিরোধসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিশষে  রোবট পেট্রোল কার্যক্রম চালু করছেে র‌্যাব-৮ পটুয়াখালী। এছাড়াও বখাটেপনা রোধে বিভিন্ন বিপনী বিতান, লঞ্চঘাট, বাস র্টামিনাল ও গুরুত্বপূর্ণস্থান সমূহে বাড়ানো হয়েছে সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারী।     

তবে মৌসুমের শুরুতেই ৬৫দিনের অবরোধের ফলে উচ্ছাসহীন জেলার মৎস্য নির্ভর উপকূলীয় জনপদ রাংঙ্গাবালী, গলাচিপা এবং কলাপড়ার ঈদ বাজার। এসব এলাকার জেলে পল্লীর ঈদ অনন্দ অনেকটাই প্রানহীন।

জেলে মিজানুর রহমান জানান, মাছ শিকারে অবরোধ থাকায় র্আথকি দৈন্যতা চলছে। দেনা করে পরিবারের ইচ্ছা পূরন করতে হচ্ছে। মহিপুরের তৈরি পোষাক বিক্রেতা সম্রাট মিয়া জানান, মৎস্য অবরোধ থাকায় বিক্রি অনেক কম।    

বর্তমান ফ্যাশনের সত্ত্বাধিকারী রেহান উদ্দিন রেহান জানান, ধানের বাজারে মূল্য কম থাকায় প্রথম দিকে বিক্রি একটু কম ছিল। তবে শেষ মূহুর্তে গ্রাম থেকে দল বেঁধে মহিলারা আসছে কেনাকাটা করতে। 

শিকদার বুটিকসের মালিক ফিরোজ শিকদার বলেন, বিশ রোজার পর থেকেই ভীড় বাড়তে শুরু করলেও বিগত বছরের তুলনায় এ বছর বিক্রি অনেক কম। তবে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি থাকায় ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।  

Bootstrap Image Preview