Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মায়ের কবরের পাশে শায়িত হচ্ছেন বরেণ্য সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ মে ২০১৯, ১২:২১ PM
আপডেট: ২৩ মে ২০১৯, ০১:৩৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


নজরুল সংগীতের বরেণ্য শিল্পী, স্বরলিপিকার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীতগুরু খালিদ হোসেনকে কুষ্টিয়ার বাড়িতে মায়েরের কবরের পাশে চিরশায়িত করা হবে। এর আগে সকালে এই শিল্পীর মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটে।

গতকাল বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তিনি রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। শায়িত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালিদ হোসেনের ছেলে আসিফ।

আসিফ বলেন, মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাইতুল আমান মিনা মসজিদে প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হওয়ার পর সকাল ১০টায় বাবার মরদেহ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটে নেওয়া হবে। সেখানে সকাল ১১টা পর্যন্ত তার মরদেহ রাখা হবে। এরপর আমরা কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করবো। সেখানে অসিয়ত মতো তার মায়ের কবরের পাশে বাবাকে সমাহিত করা হবে। আপাতত আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে কি-না তা নজরুল ইনস্টিটউটে নেওয়ার পর সিদ্ধান্ত হবে।

খালিদ হোসেন অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখ ভুগছেন। পাশাপাশি ফুসফুস ও হৃদ্‌যন্ত্রের জটিলতা রয়েছে।

এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি হন খালিদ হোসেন। তখন থেকে প্রতি মাসে তাকে একটি বিশেষ ইনজেকশন দিতে হয়। এ কারণে ভর্তি হতে হয় হাসপাতালে। ইনজেকশন দেওয়ার দুদিন পরই তিনি বাসায় ফিরে যান। কিন্তু ইনজেকশন দেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি ঘটায় তাকে সিসিইউতে রাখা হয়েছে।

খালিদ হোসেনের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বছর ১০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর। দেশ বিভাগের পর বাবা-মায়ের সঙ্গে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে স্থায়ীভাবে ঢাকায় আছেন। খালিদ হোসেন একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এ ছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।

Bootstrap Image Preview