ক্রিকেটে প্রতিনিয়ত কত রেকর্ড হচ্ছে।আবার সেই রেকর্ড ভেঙ্গেও যাচ্ছে।এই ভাঙা গড়ার মাঝে আমারা কতটাই বা জানি। আর কতটাই বা মনে রাখি। আজ আমরা জানবো ক্রিকেটের বৈচিত্র্যময় ৫টি রেকর্ড।
১। নিউজিল্যান্ডের ক্রিস মার্টিন ও ভারতের ভগবত চন্দ্রশেখর। এই দুই ক্রিকেটারই তার টেস্ট ক্যারিয়ারে রানের চেয়ে উইকেট সংখ্যা বেশি। নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ৭১ টেস্টে যেখানে নিয়েছেন ২৩৮ উইকেট সেখানে টেস্টে তার মোট রান ১২৩। অন্যদিকে ভারতের চন্দ্র শেখর ৫৮ টেস্টে নিয়েছেন ২৪২ উইকেট এবং রান করেন ১৬৭।
২। একটি ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে দেওয়া হয় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার। তবে প্রতি ম্যাচে ধারাবাহিক ভারে পারফর্ম করে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের পুরস্কার জেতাটা ভাবতেই অবাক লাগে। তবে টানা চার ম্যাচে ম্যাচ সেরা পুরস্কার জিতে নিয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন ভারতের সাবেক তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন।
আপনি নিশ্চয় ভাবছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটারদের মধ্যে সবেচেয় সফল শচীন টেন্ডুলকারই হয়তো রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছেন। তবে আপনার ধারণা পুরোপুরিই ভুল। তিনি শচীন টেন্ডুলকার নয়। টানা চার ম্যাচে ম্যাচ সেরা হওয়ার রেকর্ডের মালিক হল ‘দাদা’ খ্যাত বাংলার ‘রসগোল্লা’ সৌরভ গাঙ্গুলি।
৩। ক্রিকেটে ব্যাটিং অর্ডার খুবি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একেক ব্যাটসম্যান এক এক পজিশনে খেলতে পছন্দ করেন। আবার অনেক সময় দেখা যায় ম্যাচের প্রয়োজনে কোনো ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং অর্ডার পরিবর্তন করে ব্যাটিং করানো হয়। ক্রিকেট ইতিহাসে এমন ৪ জন ক্রিকেটার আসেন, যারা কিনা দলের প্রয়োজনে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন পজিশনে ব্যাট করেছেন। তাঁরা হলেন- হাশান তিল্কারত্নে, আব্দুর রাজ্জাক, শোয়েব মালিক এবং ল্যান্স ক্লুজানার।
৪-ক্রিকেটে সেঞ্চুরি অর্থাৎ ১০০ রান অনন্য এক মাইল ফলক। এই মাইলফলক কে না ছুঁতে চায়। ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড ১০০ সেঞ্চুরির মালিক ভারতের ক্রিকেট ঈশ্বর খ্যাত শচীন টেন্ডুলকার। তবে এই মাইলফলকে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আরও এক কীর্তি গড়েছেন তিনি। সেটি হল সবচেয়ে বেশি বার সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়ে আউট হওয়ার রেকর্ডটিও আছে দখলে।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মোট ২৭ রান নার্ভাস নাইনটিজে আউট হয়েছে শচীন। যার মধ্যে ওয়ানডেতে ১৭ রাব এবং বাকি ১০ বার টেস্ট ক্রিকেটে।
৫। ম্যাচের তারিখ, সময় ও প্রয়োজনীয় রান একই। ভাবতে অবাক লাগলেও এমন কাকাতালীয় ঘটনাও ক্রিকেট ইতিহাসে ঘটার উদাহরণ রয়েছে। ১১/১১/১১ তারিখের কোন এক ম্যাচে, সকাল ১১.১১ মিনিটে কোনো একটি প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা প্রয়োজন ছিল ১১১ রান।