মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র্রে গর্ভপাতবিরোধী আইন ঠেকাতে যৌন ধর্মঘটে নামার আহ্বান জানিয়েছেন হলিউড অভিনেত্রী অ্যালিসা মিলানো। দেশটির রাজ্যগুলোর মধ্যে সর্বশেষ জর্জিয়া নারীদের গর্ভপাতের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আইন প্রণয়ন করেছে। এর প্রতিবাদে যৌন সম্পর্ক থেকে বিরত থাকার জন্য সকল নারীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
হলিউড এই অভেনেত্রী সবসময় নারী অধিকার ব্যাপারে সোচ্চার। এর আগে তিনি ‘মি-টু’ আন্দোলনেও বেশ সোচ্চার ছিলেন। এবার গর্ভপাত বিরোধী আইনের বিরোধিতা করে তিনি বলেন, আমাদের প্রজনন অধিকার বিলুপ্ত হতে যাচ্ছে। যতদিন শরীরের ওপর নারীর আইনগত নিয়ন্ত্রণ না আসবে ততদিন আমরা গর্ভধারণের ঝুঁকি নিতে পারি না। শরীরের স্বায়ত্তশাসন ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থেকে আমার সঙ্গে যোগ দিন।’ টুইটারে জানানো মিলানোর আহ্বানে মিশ্র প্রতিক্রিয়া এসেছে।
মিলানোর তৈরি হ্যাশট্যাগ সেক্স স্ট্রাইক টুইটারে অনেকটা ট্রেন্ডিং হয়ে উঠেছে। প্রায় ৩৫ হাজার লাইক এবং ১২ হাজার বার রি-টুইট হয়েছে তার টুইটটি। বেটি মিডলার নামে এক অভিনেত্রী মিলানোকে সমর্থন করে টুইট করে লিখেছেন, আশা করি এমন লজ্জার আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত জর্জিয়ার নারীরা যৌন সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকবেন।
গত সপ্তাহে জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান ক্যাম্প গর্ভপাতবিরোধী ‘হার্ট-বিট বিল’-এ স্বাক্ষর করেন। আগামী বছরের প্রথম দিন থেকে এই আইনটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। নতুন এ আইনের মাধ্যমে ভ্রূণের হার্ট-বিট পাওয়ার পর গর্ভপাত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নতুন এ আইনটি অবশ্য আদালতে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
সাধারণত গর্ভধারণের ছয় সপ্তাহ পর গর্ভজাত শিশুর হার্ট-বিট তৈরি হয়। যদিও অনেক সময় নারীরা কিছুটা লক্ষ্মণ ছাড়া ছয় সপ্তাহে বুঝতেই পারেন না যে তিনি গর্ভধারণ করেছেন কি না। এমনকি মর্নিং সিকনেস নামে গর্ভধারণের পর যে শারীরিক লক্ষ্মণ প্রকাশ পায়, তাতেও নয় সপ্তাহ সময় লাগে।