Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

৮টি স্লুইজগেটে বদলে যাবে সাগর পাড়ের চিত্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ মে ২০১৯, ০৮:০১ PM
আপডেট: ১৩ মে ২০১৯, ০৮:০১ PM

bdmorning Image Preview


পটুয়াখালীর সাগর পাড়ের মানুষের কৃষিকাজের সুবিধার্থে নতুন করে নির্মিত হচ্ছে আটটি স্লুইসগেট। সাগর পাড়ের মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী, ধুলাসার ও কুয়াকাটায় ৩৯ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ পুনরাকৃতিকরণের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালে। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন করে এই অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে আটটি স্লুইজগেট।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ করছে চায়নার চংচিং ইন্টারন্যাশনাল কনস্ট্রাকশন (সিকো)। সাড়ে ২৪ ফুট উচ্চতায় হচ্ছে ২২ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। যেখানে সিসি ব্লক প্লেসিং করে পর্যটকের বসার জন্য বেঞ্চি করা হবে। এসব কাজ ২০২১ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। ভাঙন থেকে বেড়িবাঁধ রক্ষাসহ মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষার এমন কাজে ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষ হয়েছে অশান্বিত, কেটে গেছে জলোচ্ছ্বাসসহ সাগরের অব্যাহত ভাঙন আতঙ্ক।

সুবিধাভোগী কৃষকদের সাথে আলাপচারিতায় জানা যায়, সত্তরের দশকে র্নিমিত উপকূলীয় এলাকার এসব স্লুইসগেটের সবই প্রায় অকেজে হয়ে পড়েছিল। জলকপাট ভেঙে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে আবাদি জমি প্লাবিত হত। শুকনা মৌসুমে লবন পানি প্রবেশ করে ক্ষেতের কস্টার্জিত ফসল নষ্ট হয়ে যেত। আবার শুকনো মৌসুমে মিঠা পানি সংরক্ষণ করে রাখা যেতো না। নিজেদের প্রয়োজনেই কৃষকরা নিজেদের খরচে এসব জলকপাট মেরামত করত। কিন্তু অস্থায়ী এসব মেরামত ভেঙে কিংবা নষ্ট হয়ে আবাদি ফসল নষ্ট হতো। দীর্ঘ দুই দশক ধরে কৃষকরা এমন ভোগান্তি নিয়ে কৃষিকাজ করলেও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছিল।

আশাখালী গ্রামের কৃষক আব্বাস হাওলাদার জানান, বর্ষার জমিতে পানি জমে যেত। মিঠা পানির অভাবে শুকনো মৌসুমে ক্ষেতে চাষের কাজ ব্যহত হত। এখন আশার আলো দেখছি। সরকারের এমন মহতী উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

ফাসিপাড়া গ্রামের কৃষক আফজাল জানান, প্রতি বছর লবন পানি প্রবেশ করে রবিশষ্য ক্ষেত নষ্ট হয়ে যেত। সে চিন্তা এখন দূর হচ্ছে।

একই এলাকার গৃহবধূ সালেহা বেগম জানান, বর্ষা মৌসুমে ভাঙা কপাট দিয়ে পানি প্রবেশ করে বাড়িঘর প্লাবিত হত। দুই দফা জোয়ারের পানিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হত।

কলাপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতালেব তালুকদার জানান, দখিনের এ জনপদের কৃষি উন্নয়নে জলকপাট বা স্লুইজগেট আপরিসীম সুবিধা দিবে। এরফলে কৃষকদের ফসলের উৎপাদন বাড়বে। মিঠা পানির অভাবসহ বর্ষার জলাবদ্ধতার ক্ষতি কমে আসবে।

Bootstrap Image Preview