দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকলেও শর্ত সাপেক্ষে দেশে ফিরতে চান ইসলাম ধর্ম প্রচারক জাকির নায়েক। সম্প্রতি দ্য উইক ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে জাকির নায়েক বলেন, নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্যও তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে। সেই কারণে দেশে ফেরাটা একান্তই দরকার।
ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমার কোনো দোষ প্রমাণ হচ্ছে ততক্ষণ আমায় গ্রেফতার করা যাবে না। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আমায় এই আশ্বাস দিলে আমি দেশে ফিরতে রাজি। মালয়েশিয়াতে গিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা কিংবা এনআইএ জেরা করতে চাইলে তা করতে পারে বলে জানিয়েছেন জাকির।
জাকির নায়েক আরও বলেন, ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে ৯০ শতাংশ মুসলিমের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয় এবং ১০ থেকে ১৫ বছর পরে সে আবার মুক্তি পায়। আমিও তেমনই একজন। এই ১০ বছর আমায় আড়ালে চলে যেতে হবে আর আমার গবেষণা শিকেয় উঠবে। আমি কেন বোকা হতে যাব।
এর আগে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ঢাকার গুলশানে ঘটে যায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। সেই ঘটনার সঙ্গে জাকির নায়েকের নাম জড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা জাকিরের বক্তব্য শুনে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল বলে দাবি করে বাংলাদেশ সরকার। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে নামে নয়াদিল্লি। গত মাসে শ্রীলঙ্কায় আত্মঘাতী হামালার পেছনেও জাকিরের বক্তব্যের তত্ত্ব সামনে আসে।
তবে জাকির নায়েক বলেন, কোনো জঙ্গি বলেছে যে আমি ওদের বোম মারতে বলেছি? উত্তর না হবে। চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি যে সাধারণ নিরীহ মানুষকে মারার জন্য আমি কখনও কাউকে অনুপ্রণিত করিনি। যদি এমন কেউ বলে সে মিথ্যা বলছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ বছর ধরে নিজ দেশ ভারতের বাইরে অবস্থান করছেন ইসলামের ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক। গ্রেফতার এড়াতে বর্তমানে তিনি মালয়েশিয়ায় রয়েছেন। জাকির নায়েক ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা।