Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সঙ্গীতের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন সুবীর নন্দী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ মে ২০১৯, ১২:৫৩ PM
আপডেট: ০৭ মে ২০১৯, ১২:৫৪ PM

bdmorning Image Preview


‘যদি কোনোদিন আমার পাখি,‘ আমায় ছেড়ে উড়ে চলে যায়, একা একা রবো নিরালায়…।’কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে এই গান। শুধু কি এই গান? প্রজন্মের পর প্রজন্মের কাছে ‘আমার এই দুটি চোখ’, ‘কেন ভালোবাসা হারিয়ে যায়’ ‘ও আমার উড়াল পঙ্খীরে’ গানগুলো ছিল অসম্ভব প্রিয়।

গানগুলো অসম্ভব  ভালোবাসা দরদ দিয়ে গেয়েছেন সুবীর নন্দী। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এই গায়ক সত্তরের দশক থেকে চলচ্চিত্রে গান গাইতে শুরু করেন। বরেণ্য এই সংগীতশিল্পী আর নেই। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৪টায় মারা যান তিনি।

৭০ এর দশকে গানের রাজ্যে পুরোপুরি ভাবে প্রবেশ করেন সুবীর নন্দী। ঢাকা রেডিওতে প্রথম রেকর্ডিং দিয়েই এ জগতে তার পথচলা শুরু হয়। তার প্রথম গান 'যদি কেউ ধূপ জ্বেলে দেয়'। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। দীর্ঘ ৪০ বছর গান গেয়েছেন। এ সময়ে আড়াই হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন।

প্রথমের বেতার পরে টেলিভিশন শেষে চলচ্চিত্রে গেয়েছেন গান। চলচ্চিত্রে গাওয়া গানেই জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌছেছেন তিনি। ১৯৭৬ সালে আব্দুস সামাদ পরিচালিত সূর্যগ্রহণ চলচ্চিত্রে প্রথম গান করেন তিনি। এরপর মহানায়ক (১৯৮৪), শুভদা (১৯৮৬), শ্রাবণ মেঘের দিন (১৯৯৯), মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও মহুয়া সুন্দরী (২০১৫) চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। সব শেষ ২০১৯ সালে তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।

সুবীর নন্দী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানায় নন্দী পাড়া নামক মহল্লায় এক কায়স্থ সম্ভ্রান্ত সঙ্গীত পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।।তার নানা বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার বাদেআলিশা গ্রামে. তার পিতা- সুধাংশু নন্দী ছিলেন একজন চিকিৎসক ও সঙ্গীতপ্রেমী। তার মা পুতুল রানী চমৎকার গান গাইতেন কিন্তু রেডিও বা পেশদারিত্বে আসেননি। ছোটবেলা থেকেই তিনি ভাই-বোনদের সঙ্গে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নিতে শুরু করেন ওস্তাদ বাবর আলী খানের কাছে। তবে সঙ্গীতে তার হাতেখড়ি মায়ের কাছেই। বাবার চাকরি সূত্রে তার শৈশবকাল চা বাগানেই কেটেছে। পাঁচ-ছয় বছর বয়স পর্যন্ত বাগানেই ছিলেন। চা বাগানে খ্রিস্টান মিশনারিদের একটি স্কুল ছিল, সেখানেই পড়াশোনা করেন। তবে পড়াশোনার অধিকাংশ সময়ই তার কেটেছে হবিগঞ্জ শহরে। হবিগঞ্জ শহরে তাদের একটি বাড়ি ছিল, সেখানে ছিলেন। পড়েছেন হবিগঞ্জ গভঃ হাইস্কুলে। তারপর হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজে। মুক্তিযুদ্ধের সময় সুবীর নন্দী সেকেন্ড ইয়ারে পড়তেন।

Bootstrap Image Preview