Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঢাকাই চলচ্চিত্রের নায়িকাদের অজানা অধ্যায়

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১ মে ২০১৯, ০৩:২৪ PM
আপডেট: ০১ মে ২০১৯, ০৩:২৭ PM

bdmorning Image Preview


তারকাদের ব্যক্তিজীবন নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। প্রিয় তারকার প্রতিটি পদচারণা ভক্তদের হৃদয়ে নতুন ছবি আঁকে। চলুন জেনে নেয়া যাক, কালের পরিবর্তনে হাওয়া লাগানো বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের কিছু নায়িকার প্রেম-বিয়ের নানা কথা।

শাবনাজঃ ১৯৯১ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হয়ে আসেন শাবনাজ। ওই চলচ্চিত্রে তার নায়ক ছিলেন নাঈম। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হন দুজন। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। শুরু থেকেই তাদের প্রেম কাহিনী মিডিয়ায় চাউর হয়। কিন্তু এ খবর তারা অস্বীকার করেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটান এই জুটি। বর্তমানে সুখে সংসার করছেন তারা।

মৌসুমীঃ ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বড় পর্দায় পথচলা শুরু করেন মৌসুমী। শুরুতেই এই চলচ্চিত্রের নায়ক সালমান শাহকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন রটলেও পরে আরেক হার্টথ্রব নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে মৌসুমীর প্রেমের খবর চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। যথারীতি প্রথমে অস্বীকার, পরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। এরপরেও অনেকের সঙ্গে জড়িয়ে মৌসুমীর প্রেমের গুঞ্জন রটলেও এখনো মৌসুমী-ওমর সানির সুখী দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়।

শাবনূরঃ ১৯৯৩ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে হাজির হন শাবনূর। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই সাব্বির, সালমান শাহ, রিয়াজসহ অনেকের সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলতে থাকে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অস্ট্রেলিয়ায় নাগরিকত্ব পাওয়া অনিক মাহমুদের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি পুত্র সন্তানের মা হন।

পূর্ণিমাঃ নব্বই দশকের মাঝামাঝিতে চলচ্চিত্রে আসেন মিষ্টি হাসির মেয়ে পূর্ণিমা। সুদর্শন নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি হয়ে অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দেন। তাদের প্রেম কাহিনী এক সময় কানে কানে ফিরতে থাকে। এরপর অবশ্য আরও এক নায়ক ও নির্মাতার সঙ্গেও পূর্ণিমার প্রেমের খবর রটে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্র জগতের বাইরে বিয়ে করায় পূর্ণিমার প্রেম উপাখ্যান আর হালে পানি পায়নি।

পপিঃ মনতাজুর রহমান আকবরের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হিসেবে পাওয়া যায় পপিকে। পরবর্তীতে শাকিল খানের সঙ্গে পপি অভিনয় করেন ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে। একসঙ্গে জুটি হয়ে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন দুজন। কিন্তু এ জুটি প্রথম চলচ্চিত্র থেকেই প্রেমের গুঞ্জনের জন্ম দেন। এক পর্যায়ে পপিকে স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেন শাকিল খান। কিন্তু পপির অস্বীকৃতিতে ঘটনা আদালতে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত দুজন দুই মেরুতে চলে যান।

অপু বিশ্বাসঃ ঢালিউডের সেরা জুটির তালিকায় রয়েছেন অপু-শাকিব। তাদের কেমিস্ট্রি শুরু থেকেই দর্শক হৃদয়ে সাড়া ফেলে। শাকিবের সর্বাধিক ছবির নায়িকাও তিনি। ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। বিয়ের স্থান ছিল শাকিবের বাসা। যেখানে সাক্ষী ছিলেন অপুর মেজো বোন, শাকিবের চাচাত ভাই এবং উকিল বাবা ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন। দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর একটি টেলিভিশন চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে ছয় মাসের শিশুসন্তান আব্রাম খান জয়কে নিয়ে শাকিবের সঙ্গে বিয়ের কথা ফাঁস করে দেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু তাদের সেই বিয়ে টিকেনি। বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন এই দম্পতি।

রেসিঃ ২০০৮ সালে বুলবুল জিলানীর ‘নীল আঁচল’ চলচ্চিত্রে নায়িকা হয়ে আসেন রেসি। প্রথমে এই নির্মাতা, পরে এক মডেল, সর্বশেষ অভিনেতা ডিপজলের সঙ্গে রেসির প্রেম-বিয়ের গুঞ্জন ঢালিউডের বাতাস ভারি করেছে। অবশেষে ২০১২ সালে রেসি বিয়ে করেন এক ব্যবসায়ীকে। অবসান ঘটে সকল জল্পনা-কল্পনার।

Bootstrap Image Preview