পহেলা বৈশাখে মোটরসাইকেলে কেবল স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে বসতে পারবেন। অন্যথায় চালক ছাড়া অন্য কোন আরোহী বহন করা যাবে না। একযোগে বা দলগতভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি বা যান চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না বলে নির্দেশনা জারি করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমূল বিতর্ক।
এসএমপির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘এক মোটর সাইকেলে চালক ছাড়া কোনো আরোহী থাকবেন না, তবে স্বামী-স্ত্রী একসাথে মোটর সাইকেলে উঠতে পারবেন।’ কিন্তু বাইকে স্বামী-স্ত্রী ছাড়া অন্য যুগল উঠলে কী করবে পুলিশ?
এ বিষয়ে সিএমপির উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, বর্ষবরণের দিন সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেননা, সম্প্রতি বাইকে দুই আরোহী মিলে বেশ কয়েকটি ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতেই এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিতর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আসলে ওভাবে বোঝানো হয়নি। একজন ব্যক্তির বাইকে তার মা, বোন বা বান্ধবী উঠতেই পারেন। সেটিকে আমরা নিরাপত্তা ঝুঁকি বলে মনে করছি না। এ নিয়ে যাতে ভুল ধারণা তৈরি না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের এরই মধ্যে জানিয়ে দেয়া হয়েছে।’
এসএমপির কর্মকর্তা মুসা আরো বলেন, ‘বাইকে একাধিক যাত্রী বহন করা হোক, তা আমরা চাই না। তাই নির্দেশনায় একসাথে বা দলগতভাবে বাইকে চালিয়ে জনগণের মনে আতঙ্ক তৈরি না করার জন্যও বলা হয়েছে।’
জানা গেছে, ‘সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ-এসএমপি’ নামে একটি ফেসবুক পাতায় দেয়া এ সংক্রান্ত পোস্টটি রাত ১টা ১৯ মিনিটে সম্পাদনা (এডিট) করা হয়। পরে রাত ২টা ১২ মিনিটে সংশোধনী নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়।
এদিকে পুলিশের এ নির্দেশনা নিয়ে ফেসবুকে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দিচ্ছেন, কমেন্ট করছেন। এমনকি বিভিন্ন পেইজ ও গ্রুপে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে লেখালেখি হচ্ছে।
মাহামুদ রেজা রাসেল লিখেছেন, কেমন করে বুঝবে, কোনটা বউ আর কোনটা প্রেমিকা,ভোটার আইডি কাডে এখন তো আর স্বামীর নাম নাই। মেয়েদের আছে পিতার নাম।
দুলাল দাস নামের একজন লিখেছেন, ‘প্রেমিক প্রেমিকারা সাবধান… স্বামী-স্ত্রী আপনারা কাবিননামা সাঙ্গে নিয়ে বের হবেন।’
জয়নুল আবেদিন জয় নামে আরেকজন ব্যঙ্গ করে লিখেছেন, ‘আজ বউ নাই বলে মোটর সাইকেলে উঠতে পারবো না।’
নাজমুল হক নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, তাহলে সাথে কাবিন নামা আর আইডি কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক।