এখনও এইডস রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার পরেও এইডস থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেয়েছেন এক ব্যক্তি। এই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছে লন্ডনে। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এইডস রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন ঐ ব্রিটিশ রোগী।
বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টের মাধ্যমে এইচআইভি ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পান তিনি। ‘লন্ডন পেশেন্ট’ নামে পরিচিত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি।
বার্লিনের রোগী টিমোথি রায় ব্রাউনের এইচআইভি থেকে মুক্তি পাওয়ার এক দশক পর আবার এই সফল অপারেশন হল। ২০০৭ সালের পর গত ১২ বছরে জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ এই অপারেশন একটিও সফল হয়নি। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
২০০৩ সালে এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে ‘লন্ডন পেশেন্ট’র শরীরে। ২০১২ সাল থেকে তিনি এই ভাইরাসের সুরক্ষায় ওষুধ নেয়া শুরু করেন।
তারপর ধরা পড়ে ক্যান্সার এবং ২০১৬ সালে তিনি স্টিম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে রাজি হন। এরপর তার চিকিৎসকরা, এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধে প্রাকৃতিকভাবেই সক্ষম এমন জিনদাতা খুঁজে বের করেন। এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারে এমন জিন থাকা ব্যক্তি ইউরোপে মাত্র ১ শতাংশ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ খবর এইডস রোগের জন্য দায়ী এইচআইভি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এক মাইলস্টোন। তবে তারা সতর্ক করে বলেন, এ খবর বিশ্বের তিন কোটি ৭০ লাখ লোকের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তন আনবে না। সুস্থ হওয়া এই দুই ব্যক্তিই এইচআইভি ভাইরাসের পাশাপাশি ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে ছিলেন।
বার্লিনের রোগী লিউকোমিয়া এবং লন্ডনের রোগী হোজকিন লাইমপোমায় ভুগছিলেন। তাদের জন্য স্টিম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ছিল বাঁচার জন্য সর্বশেষ উপায়। অন্যদের ক্ষেত্রে এটি ভয়ঙ্কর এবং এইচআইভ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ সেবনের তুলনায় অপ্রয়োজনীয়। ওষুধই তাদের সুস্থ এবং দীর্ঘ জীবনযাপনে সহায়তা করবে।