প্রয়াত জনপ্রিয় পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন। ২০০৯ সালের ২৫ জুন না ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি। কিন্তু মৃত্যুর আগের আটটি বছর ঘুমের জন্য বেঁচে ছিলেন এই তারকা।
জানা যায়, ২০০১ সালের ৯/১১ জঙ্গি হামলায় ৩০০০ মানুষ নিহত হন। দুটি বিমান এসে সোজা ধাক্কা মারে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের দুটি টাওয়ারে। দুটি টাওয়ারেই আগুন ধরে যায়। চোখের সামনে ভেঙে পড়ে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র। ওই ৩০০০ হাজার হতভাগ্য মানুষের মধ্যে থাকতে পারতেন মাইকেল জ্যাকসনও। প্রয়াত এই পপস্টারের ভাই জেরমাইন জ্যকসনের লেখা মাইকেলের জীবনী ‘ইউ আর নট অ্যালোন: মাইকেল: থ্রু অ্যা ব্রাদার্স আইজ’ এ উঠে এসেছে সেই কাহিনী।
জেরমাইন জ্যকসন লিখেছেন, হামলার দিন বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে জ্যাকসনের একটি বৈঠক ছিল। কিন্তু তার আগের রাতে ঘুমতে যেতে দেরী করে ফেলেন জ্যাকসন। রাতে মা ক্যথেরাইনের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেছিলেন তিনি। ফলে বিছানায় যেতে অনেক রাত হয়ে যায়। সকালে ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের মিটিংয়ে যেতে পারেননি তিনি। আর এটাই তাঁকে বাঁচিয়ে দেয়।
হামলার খবর পাওয়ার পরই জ্যকসন তার মা’কে ফোন করেন, ‘মা আমি ভালো আছি। গত রাতে তোমার সঙ্গে এতক্ষণ কথা বলেছি যে সকালে বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রের বৈঠকে যেতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, ৫০ বছর বয়সে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন মাইকেল জ্যাকসন। তার মৃত্যুতে সারা বিশ্বে শোকের ছায়া নেমে আসে। তবে মৃত্যুর পরেও মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের রেকর্ড ধরে রেখেছিলেন এই পপ তারকা। বলা চলে, মৃত্যুর পর তার জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে গিয়েছিলো।