‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌঁছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ শ্লোগানের উপর ভিত্তি করে ২১-২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত আয়োজন করা হয়েছে ‘বিজয়ের মহোৎসব ২০১৮’ নামক সপ্তাহব্যাপী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী’র পরিকল্পনায় বিজয়ের মাস এ অনুষ্ঠানের আযোজন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪.৩০ টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে শুরু হয় ৫ম দিনের আয়োজন।
চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহউদ্দিন শাকের-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র ‘মুজিবনগর: বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী’, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র “ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ” এবং ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দী’ প্রদর্শিত হয়।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন নৃত্যাঙ্গন, ভাবনা ও ভঙ্গিমা। সংগীত পরিবেশিন করেন শিল্পী মানিক দেওয়ান, রোকসানা আক্তার রুপসা, নিতু, মোস্তাফা, অনুপম।
অনুষ্ঠানের শেষে আব্দুল আজিজের নির্দেশনায় ‘সিরাজ যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক এবং আসাদুজ্জামান দুলালের রচনা এবং শহীদুল হক শ্যাননের নির্দেশনায় ‘ফেরিওয়ালা’ নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেশন করে বাংলাদেশ থিয়েটার এবং অবয়ব নাট্যদল। এছাড়া একাডেরিম অ্যাক্রোবেটিক দলের অ্যাক্রোবেটিক পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন সংগীতা চৌধুরী।
এছাড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রামাণ্যচিত্র “আমাদের বঙ্গবন্ধু”, স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র “গল্প সংক্ষেপ” প্রদর্শিত হয়। দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ দিনে পর্যায়ক্রমে প্রামাণ্যচিত্র “স্টপ জেনোসাইড” স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র “ঘ্রাণ”, প্রামাণ্যচিত্র “মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চারনেতা”, স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র “পুতুল পুরাণ”, প্রামাণ্যচিত্র “বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাস” এবং স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র “ইতিহাসের সন্ধানে” ও ‘ফ্রোজেন টিয়ার্স’ প্রদর্শিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি চলবে আগামী ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৪.৩০ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।