Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৩ রবিবার, অক্টোবার ২০২৪ | ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর উদ্যোগ হাস্যকর: সাবেক নভোচারী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫২ PM
আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ০২:৫২ PM

bdmorning Image Preview


আগামী ২৫ বছরের মধ্যে মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে নাসা। সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। এমনটিই জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি।

নাসা মনে করে, প্রযুক্তিগত ও স্বাস্থ্যজনিত সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে পারলেই মঙ্গলের মাটিতে পা পড়বে মানুষের। কিন্তু মঙ্গলে নভোচারী পাঠানোর উদ্যোগকে হাস্যকর বলে মন্তব্য করেছেন এক নভোচারী।

তিনি বলেন, মানুষের মঙ্গলযাত্রা অমঙ্গল ছাড়া আর কিছুই নয়। এই প্রচেষ্টা নেহায়েত বোকামি।

সম্প্রতি বিবিসি রেডিও ৫-এ সরাসরি সম্প্রচার অনুষ্ঠানে এসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

৮৫ বছর বয়সী সাবেক এ নভোচারীর নাম বিল অ্যান্ডার্স। নভোযান অ্যাপোলো-৮ চালিয়ে চাঁদের উদ্দেশে প্রথম পাড়ি জমান এ নভোচারী। তবে মঙ্গলগ্রহ জয়ের বিপক্ষে নন বিল অ্যান্ডার্স। অ্যান্ডার্স নিজেও একজন মঙ্গল মিশনের পক্ষে। তিনি মঙ্গলে মানুষ নয়, রোবট পাঠাতে মত দিয়েছেন।

তিনি মনে করেন, মঙ্গলে মানুষ পাঠানো খুবই ব্যয়বহুল। আর এই খরচ জনসাধারণের পক্ষে ব্যয় করা কষ্টকর। মঙ্গলে যে মানুষই পাঠাতে হবে এমনটি জনগণও চায় না বলে দাবি করেন সাবেক এ নভোচারী।

তিনি বলেন, চন্দ্রাভিযানের পর থেকে নাসা মহাকাশে মানুষ পাঠানো নিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়ে ফেলেছে।

নাসার কঠোর সমালোচনা করে বিল অ্যান্ডার্স বলেন, ‘নাসা আজও চাঁদকে ভালোভাবে জয় করতে পারেনি। মঙ্গল জয় অনেক কঠিন কাজ।’

বিল অ্যান্ডার্সের এমন কটাক্ষের পর নাসার পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে পৃথিবীর নিকটতম লাল বর্ণের গ্রহটির প্রতি নাসার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে সফলভাবে মঙ্গলে পা ফেলেছে রোবটযান ‘ইনসাইট’।

অবতরণের পর সেখানকার মাটিতে সিসমোমিটার (কম্পনমাপক যন্ত্র) স্থাপনের পর থেকেই তথ্য পাঠাতে শুরু করেছে ইনসাইট ল্যান্ডার।

উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালের ডিসেম্বরে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমান বিল অ্যান্ডার্স। তার মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে ২০ ঘণ্টা কাটিয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসে।

সফল সেই অভিযানের সাত মাস পর চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি জমায় মহাকাশযান অ্যাপোলো-১১।

Bootstrap Image Preview